ছবি: সংগৃহীত।
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছুটির নির্ঘন্ট প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক স্কুলে একটানা রাখা হল না দুর্গা পুজো থেকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পর্যন্ত লম্বা ছুটি।
দুর্গাপুজোর সময় ছুটি বেশি থাকে সব থেকে স্কুলে। এ বার সেই ছুটিতেই কাটছাঁট করল সরকার। পুজো উপলক্ষে এ বার টানা ছুটি নয়, তাঁর বদলে ছুটি ভাগ করে দেওয়া হল ধাপে ধাপে। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজোয় মোট ১১ দিন ছুটি থাকবে। এরপর কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটায় চার দিন ছুটি থাকবে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। ২০২৪ সালের যে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে তাতে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “শিশুরা যাতে আরও বেশি করে স্কুলে যেতে পারে ও মিড ডে মিলের সুবিধা বেশি করে পায় সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ৬৫ দিন আমাদের মোট ছুটি থাকে। আমরা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গরমের ছুটিতেও পরিবর্তন করা হয়েছে, মে মাসের ১৩ তারিখ স্কুলে ছুটি পড়বে আর স্কুল খুলবে ৩ জুন। আর যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক মহলে।
নারকেলডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক স্বপন মণ্ডল বলেন, “গরমের ছুটি যে সময়কালে দেওয়া হয়েছে তখন সব থেকে বেশি গরম থাকে এ রাজ্যে। জুন মাসের ৩ তারিখ স্কুল খোলার কথা বলা হচ্ছে যা কোনও ভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। বাংলায় বর্ষার প্রবেশ ঘটে জুন মাসের ২০ তারিখের পর।’’
রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৪৮ হাজারেরও বেশি। এই স্কুলগুলিতে কবে থাকবে গরমের ছুটি ও পুজোর ছুটি তার বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েক বলেন, “গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি পর্ষদ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের সেই ক্যালেন্ডার মেনে চলতে হবে। তবে গরমের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের যাতে কোন অসুবিধে না হয় সেই দিকটা পর্ষদের বিবেচনা করা উচিত।”
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উল্লেখযোগ্য ছুটির তালিকা ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
জানুয়ারি মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখ দু’দিন সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি থাকবে। দোলযাত্রা উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে ২৫ ও ২৬ মার্চ। এপ্রিল মাসে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১০ ও ১১ এই দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়েছে ১৩ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত মোট ১৯ দিন।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ই অক্টোবর, লক্ষ্মীপুজোর পরবর্তী দু’দিন পর্যন্ত টানা ১১ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। তারপর কালীপুজো থেকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরের দিন পর্যন্ত চার দিন টানা স্কুল বন্ধ থাকবে বলে বার্ষিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে। ছট পুজো উপলক্ষে ৭ ও ৮ ই নভেম্বর দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।