প্রতীকী ছবি
বছরভর সন্তানের পড়াশোনার চাপে কোথাও বেরোতে পারেন না? এই পুজোর ছুটিতে পুষিয়ে নিন সেই অভাব। তবে অতিরিক্ত যত্ন থাকুক সঙ্গের খুদেটির প্রতি। বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে গেলে কোন কোন বিষয়ের প্রতি নজর রাখা দরকার? সব দিক সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়া বাবা-মায়েদের জন্য রইল বাছাই করা আটটি পরামর্শ।
১. অংশগ্রহণ: পরিকল্পনার গোড়া থেকেই সন্তানকে রাখুন সঙ্গে। বেড়ানোর জায়গা থেকে গোছগাছ, সন্তানের সঙ্গে আলোচনা ও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন। এতে বেড়ানো নিয়ে তার উৎসাহ যেমন বাড়বে, কমবে বিরক্তি প্রকাশের অবকাশও।
২. পরিকল্পনা: বেড়াতে গিয়ে শিশুর স্বাস্থ্যের যেন ক্ষতি না হয়, সে দিকে মনোযোগ দিন। বেনিয়ম এড়াতে তার দৈনিক খাওয়া ও ঘুমের সময় অনুযায়ী সাজিয়ে নিন ঘোরাঘুরির ছক।
৩. ওষুধপত্র: বেড়াতে গিয়ে ওষুধপত্র সঙ্গে রাখা সকলের জন্যই জরুরি। তবে সঙ্গে কচিকাঁচা কেউ থাকলে কোনও ভাবেই ভুললে চলবে না দরকারি ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স। এ ছাড়া, যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ও তোয়ালের মতো টুকিটাকি জিনিসও সঙ্গে রাখুন।
৪. খাবার: বাচ্চারা পরিমাণে কম খেলেও খুব ঘন ঘন তাদের খিদে পায়। পাল্লা দিয়ে চড়তে থাকে মেজাজের পারদও। বাচ্চার জেদ ও বিরক্তি এড়াতে সঙ্গে রাখুন নানা রকম মুখরোচক খাবার।
৫. আপৎকালীন প্রস্তুতি: সন্তানকে তৈরি রাখুন সব রকম বিপত্তির জন্য। নিজের নাম, বাবা-মায়ের পুরো নাম, বাড়ির ঠিকানা, আপনাদের ফোন নম্বর ও রক্তের গ্রুপের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুখস্থ করিয়ে রাখুন। তথ্যগুলি একটি চিরকুটে লিখে তাকে সঙ্গে রাখতে বলুন সব সময়ে। বাংলার বাইরে কোথাও জায়গায় গেলে শিখিয়ে রাখুন স্থানীয় ভাষার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় কয়েকটি শব্দ।
৬. ছাড়: বহু বেড়ানোর জায়গায় বাচ্চাদের জন্য খাওয়াদাওয়া, পরিবহণ, হোটেলের ঘরভাড়া, প্রবেশ মূল্য ইত্যাদিতে আকর্ষণীয় ছাড় থাকে। যে কোনও জায়গায় যাওয়ার আগে বাচ্চাদের জন্য কী সুযোগসুবিধা আছে, জেনে নেওয়া ভাল।
৭. যন্ত্রের ব্যবহার: স্মার্টফোনের নেশা এই প্রজন্মের শিশুদের একটা বড় সমস্যা। বেড়াতে গিয়েও সে যদি ফোনের পর্দায় বুঁদ হয়ে থাকে, তবে বেড়ানোর মজাই মাটি। এই সুযোগে সেই বদভ্যাস কাটিয়ে ফেলুন। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় বেঁধে দিন। বরং তার হাতে ধরিয়ে দিন ডায়েরি বা তৎক্ষণাৎ ছবি ছেপে বেরোনো ক্যামেরা।
৮. কর্মক্ষমতা: দীর্ঘ পথচলা বা হাইকিংয়ের মতো পরিশ্রমসাপেক্ষ পরিকল্পনা থাকলে সন্তানকে তার আগে টানা বিশ্রাম নিতে দিন। অন্য দিকে লম্বা যাত্রাপথের মতো একঘেয়ে কাজের আগে তাকে ব্যস্ত রাখুন নানা শারীরিক ভাবে শ্রান্তিকর কাজে, যাতে ঘ্যানঘ্যান করার বদলে সে ঘুমিয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy