কাশ্মীরে খুব অল্প সময়ের নোটিশে অপারেশন চালাতে হতে পারে। তৈরি থাকুন।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রায় ১২ হাজার অফিসারকে ই-মেলে এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া।
নিয়ন্ত্রণরেখার এ পারে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাছাউনিগুলি যখন প্রায় নিয়মিতই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের টার্গেট হচ্ছে, তখন অফিসারদের কাছে পাঠানো ই-মেলে তাঁর ব্যক্তিগত চিঠিতে এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া লিখেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কেউ ছায়াযুদ্ধ (সাব-কনভেনশনাল থ্রেট) বাধিয়ে দিতেই পারে। তাই আমাদের হাতে এখন যা শক্তি, সেই নিয়েই খুব অল্প সময়ের নোটিশে তা মোকাবিলার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। আর সে দিকে লক্ষ্য রেখেই জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নিজেদের তৈরি রাখতে হবে।’’
অফিসারদের কাছে ঠিক কবে ওই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল, জানা না গেলেও বিমানবাহিনীর একটি সূত্রের খবর, সম্ভবত এপ্রিলের গোড়ার দিকেই ওই মেলটি পাঠানো হয়েছিল।
ওই সূত্রটিই জানাচ্ছে, যুদ্ধবিমানের যতগুলি স্কোয়াড্রন বিমানবাহিনীর প্রয়োজন, এই মুহূর্তে ততগুলি স্কোয়াড্রন নেই। ৪২টির জায়গায় রয়েছে মাত্র ৩৩টি স্কোয়াড্রন। বিমানবাহিনীর এক পদস্থ কর্তা বলছেন, ‘আমাদের হাতে এখন যা শক্তি’- লিখে ওই ই-মেলে যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রনের সংখ্যাল্পতারই ইঙ্গিত দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। সঙ্গে এই বার্তাও দিয়েছেন, তার জন্য পিছিয়ে থাকলে চলবে না।
এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া

ই-মেলে এয়ার চিফ মার্শাল লিখেছেন, ‘‘তবে আর কোনও বিকল্পও নেই। আমাদের ও শত্রু পক্ষের হাতে থাকা যাবতীয় অস্ত্র আর সে সবের প্রযুক্তি-প্রকৌশল সম্পর্কে আমাদের পুরোদস্তুর ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। তা হলেই আমরা যুদ্ধটা জেতার মতো পরিস্থিতিতে থাকব।’’
আরও পড়ুন- রিয়াধে কাল ট্রাম্প-শরিফ মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে
বিমানবাহিনীতে ‘পক্ষপাত’ আর ‘যৌন নির্যাতনে’র সাম্প্রতিক ঘটনাও নজর এড়ায়নি এয়ার চিফ মার্শালের। লিখেছেন, ‘‘কোনও বড় কাজের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অফিসার নির্বাচন বা তাঁদের প্রোমোশন দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতের ঘটনা চোখে পড়ছে। পেশাদারিত্বের অভাব চোখে পড়ছে। অসংযত আচরণ, যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে। এটা অনভিপ্রেত।’’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র অবশ্য ওই ই-মেলটিকে ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।