হীরক জয়ন্তী বর্ষে হাজার হাত হাজারহাত কালীতলা সাধারণ দুর্গোৎসবের এবারের নিবেদন ‘রক্ষা‘। ২০১৯ সালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ আমাজনের দাবানলকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, রক্ষণাবেক্ষণ, যত্ন, সর্বোপরি সংরক্ষণের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে হাওড়ার এই পুজো।
পুজো কমিটির সদস্য সায়নদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যা কিছু প্রয়োজনীয় সেটাই সম্পদ, এবং তা রক্ষার দাবি রাখে। বিভিন্ন দেবতারা মিলে দেবী দুর্গার সৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুরের হাত থেকে জগতকে রক্ষা করার জন্য। সেই ভাবনা থেকেই রক্ষার বিভিন্ন আঙ্গিককে ভালবাসা বা যত্নের মাধ্যমে এবং ঢাল তলোয়ার দিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।’’
পঞ্চভূত-এর রক্ষা সর্বাগ্রে প্রয়োজন, মণ্ডপের মধ্যে এই বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে এখানে। সায়নদীপবাবুর কথায়, ‘‘মাটি-জলাশয় ধ্বংস করে কংক্রিটের জঙ্গল বানানোর বিরোধিতা আমরা পুজোর মাধ্যমে করেছি।’’
পুজোর বহরের সাথে সমান তালে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাউলের আখড়া যেমন থাকছে, তেমনই পুজোর মূলভাবনা প্রতিষ্ঠা করতে ফোক গানের আসরও বসছে এখানে। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মণ্ডপের ভিতরে সর্বক্ষণের জন্য থাকছে ধামসা মাদলের লাইভ পারফরম্যান্স, যা থিমকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
এখানেই শেষ নয়, পার্কিং লট, উন্নতমানের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ভিআইপি লাউঞ্জ, অনুর্ধ্ব বছর বয়সি শিশুদের জন্য ফিডিংরুম ইত্যাদি সব কিছুর ব্যবস্থা থাকছে এই পুজোয়। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে পুজোর উদ্যোক্তারা এবার প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন।
প্রতিমা শিল্পী - সৈকত বসু
থিম শিল্পী - শান্তনু ভট্টাচার্য
পথ নির্দেশ - হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে নবান্ন মন্দিরতলা, সেখান থেকে হেঁটে হাজার হাত কালীমন্দিরের সামনে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy