ছবি: সংগৃহীত
আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগেকার কথা। মালদার বর্তমান ইংরেজবাজার শহরের পাঁচ জায়গায় তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা, ষষ্ঠীতলা লেন, ১৬ নম্বর আন্ধারুপাড়া, রাজমহল রোড এবং কুটিটোলা অঞ্চলে সেই সময় ছিল গভীর অরণ্য। ডাকাত দলের বাস ছিল সেই জায়গাগুলিতে। শোনা যায় পাঁচ ডাকাত দল এই পাঁচটি জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচ কালীমূর্তি। তার পর থেকেই এই পাঁচ কালীকে পাঁচ বোন কালী বলা হয়।
কালীপুজোর পর তিন বোনের বিসর্জন হয় এবং দুই বোন পাথরের তৈরি বলে তাঁদের বিসর্জন না করে মন্দিরেই রেখে দেওয়া হয়। কালীতলা অঞ্চলে রয়েছে বড় বোন বুড়াকালী, ষষ্ঠীতলায় ডাকাতকালী, রাজমহল রোড ও কুটিটোলায় রয়েছেন কাঁচাখাকি কালী ও মশানকালী এবং আন্ধারুপাড়ায় আছেন ছোট বোন তারা কালী।
কথিত, এক ভোগ যদি এই পাঁচ বোনকে অল্প করে হলেও নিবেদন করা হয়, তা হলে ভক্তদের মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ হয়। আলাদা আলাদা পুজো করা হলেও আজও প্রাচীন রীতি মেনে এখানে পুজো হয়। পুজো শেষে শোভাযাত্রা সহকারে এই পাঁচ মূর্তি মহানন্দা নদীতে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিন মূর্তির বিসর্জন হলেও দুই মূর্তিকে আবার মন্দিরেই ফিরিয়ে আনা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy