ছবি সংগৃহিত
পুজোর সময়ে জলপাইগুড়ি এসে কনক দুর্গার দর্শন না করলে লোকসান আপনারই। বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীর শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে মানুষ। কিন্তু ৫১৫ বছরের এই পুজোর এমন কি বিশেষত্ব আছে যার জন্য নামে মানুষের ঢল?
রাজপরিবারের দুই সদস্য শিষ্য সিংহ এবং বিশ্ব সিংহ খড় দিয়ে প্রথম এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রায়কত রাজবংশের রাজধানী সুবর্ণপুরে। কথিত, সেই বছরেই কোচবিহারের রাজা হন বিশ্ব সিংহ। অপর দিকে শিষ্য সিংহ জলপাইগুড়ি এসে তাঁর রাজত্ব শুরু করেন।
এই পুজোর রীতি-নীতি আর পাঁচটা পুজোর রীতির থেকে অনেকটাই ভিন্ন। জন্মাষ্টমীর পুজোয় ব্যবহৃত মাটি থেকেই তৈরি করা হয় দেবী মূর্তি। পঞ্চমীর দিন হয় মায়ের বোধন। রাজ পরিবারের দুই সদস্য বেনারস, হরিদ্বার, ঋষিকেশ-সহ তীর্থস্থানের মোট সাতটি কুণ্ড থেকে পবিত্র জল নিয়ে আসেন যা পুজোয় ব্যবহৃত হয়। এমনকি আসাম থেকে নিয়ে আসা হয় মায়ের তোয়ালে, চাদর। কাপড়ের সামিয়ানা আসে সুদূর বাংলাদেশ থেকে এবং কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয় বেনারসি শাড়ি।
মায়ের ভোগেও আছে চমক। নিরামিষ খিচুড়ি অথবা পোলাও নয়, বরং প্রতিদিন দেবীকে আমিষ ভোগ পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন মাছ যেমন ইলিশ, চিতল আবার ইলিশের মাথার চচ্চড়ি দেবীকে নিবেদন করা হয়। দশমীর ভোগে থাকে পান্তা ভাত সহযোগে মাছ।
বিসর্জনের রীতির মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। গঙ্গা অথবা অন্য কোনো নদীর বদলে মাকে রথে করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পুকুরে, সেখানেই হয় দেবীর বিসর্জন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy