প্রতীকী ছবি
পুজোর আগে বা উৎসবের দিনে, ঝিরঝিরে বৃষ্টি মানেই বাঙালির হেঁশেলে খিচুড়ির হাঁড়ি। সঙ্গে অবশ্যই ভাজভুজি। তবে খিচুড়ির সঙ্গে কিন্তু আরও একটি পদ খুব ভাল যায়। তা হল বড়া। শুধু পোস্তর বড়া বা মাছের ডিমের বড়া নয়, এ ছাড়াও রকমারি বড়া হতে পারে, যার সঙ্গে খিচুড়ি জমে যাবে একদম! রইল তালিকা।
• পলতা পাতার বড়া বা ধনেপাতার বড়া
১ কাপ কুচোনো ধনেপাতা, ১টা ছোট লঙ্কা, ১টা পেঁয়াজ, প্রয়োজন মতো হলুদ গুঁড়ো, নুন, এক টেবিল চামচ রাইস ফ্লাওয়ার, সাড়ে তিন টেবিল চামচ বেসন নিয়ে একটা বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ১০-২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পরে হাফ চামচ জল দিয়ে দিন মিশ্রণে। তার পরে একটু জল টেনে নিলে আধ কাপ তেলে ভাল করে ভেজে নিন বড়াগুলি। তৈরি খিচুড়ির পাতে পলতা পাতার বড়া।
• বকফুলের বড়া
বকফুলের বড়া বানাতে সবার আগে ফুলগুলি জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে বোঁটা ছাড়িয়ে নিন। তার পর ১৫০ গ্রাম বেসনের সঙ্গে একটু সোডা দু’-তিন ঘণ্টা রেখে দিয়ে আধ চামচ চাট মশলা, স্বাদমতো বিটনুন, হলুদ এক টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা, দুটো কুচনো কাঁচা লঙ্কা মিশিয়ে নিন। তারপর সাদা তেলে কড়কড়ে বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
• পুঁই শাকের বড়া
কুচনো পুঁই শাক, আদা-রসুন বাটা, রাইস ফ্লাওয়ার, হলুদ, জিরে, লঙ্কা ও পেঁয়াজ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন একটা বাটিতে। মুগ ডাল ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নেবেন। তার পরে দুটো মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার অল্প অল্প করে নিয়ে গরম তেলে বাদামি হওয়া অবধি ভাজুন।
• পাট পাতার বড়া
বাঙালির হেঁশেলে খুব পরিচিত পদ পাট পাতার বড়া। গোটা গোটা পাট পাতা ভাল করে ধুয়ে রাখুন। আর একটা বাটিতে রাইস ফ্লাওয়ার, হলুদ গুঁড়ো, কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, বেকিং সোডা, স্বাদ মতো নুন নিয়ে মিশিয়ে নিন। তাতে অল্প জল দিয়ে ভারী মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পরে গোটা পাট পাতা সেই মিশ্রণে মাখিয়ে সর্ষের তেলে ভেজে নিন।
• আলু খোসার বড়া-
খিচুড়ির সঙ্গে পাতে যদি থাকে আলু খোসার বড়া, তা হলে তো কথাই নেই। নিতান্তই সহজে বানিয়ে নেওয়া যায় এই পদ। মাঝারি সাইজের আলু ৬ পিস মতো নিয়ে একটু মোটা করে খোসাটা ছাড়িয়ে নিন। এ বার ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসাগুলি ঝিরিঝিরি করে কেটে নিন। তারপর নিন এক চিমটি কালো জিরে, এক চিমটি জোয়ান, একটা শুকনো লঙ্কার কুচি, এক চা চামচ ধনেপাতা কুচি, এক টেবিল চামচ বেসন, এক চা চামচ চাল গুড়ি। সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মেখে নিয়ে কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে মিশ্রণটিকে চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা আকারে বড়া তৈরি করে অল্প আঁচে একটু সময় নিয়ে ভেজে নিন।
• কিমা বড়া
যদি নিরামিষ বড়া মন না চায়, কিমা বড়া করলেই হয়। ২০০ গ্রাম মতো চিকেন অথবা মাটন কিমা অল্প নুন দিয়ে একটু সেদ্ধ করে নিন। তাতে মিশিয়ে নিন একটা ছোট আকারের আলু সেদ্ধ কুরানো, একটা মাঝারি মাপের পেঁয়াজ কুচি, এক চা চামচ রসুন কুচি ,এক চা চামচ ধনেপাতা কুচি, একটা শুকনো লঙ্কার কুচি, একটা কাঁচা লঙ্কার কুচি, হাফ চা চামচ বেকিং পাউডার, এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, এক চা চামচ ময়দা ,স্বাদ অনুযায়ী লবণ, এক চিমটি চিনি, ছোট এলাচ ও দারচিনির গুঁড়ো এক চিমটি। উপকরণগুলি ভাল করে মেখে মিশ্রণটিকে চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা বড়ার আকারে মাঝারি আঁচে একটু সময় দিয়ে ভেজে নিন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy