প্রতীকী ছবি
কোজাগরী সন্ধ্যায় বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো। অতিথিদের আপ্যায়নেও থাকে জাঁকজমক। এই বছর লক্ষ্মীপুজোয় অন্য রকম মিষ্টি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেবেন নাকি অতিথিদের? রইল বিশেষ কিছু মিষ্টি বানানোর রেসিপি।
দুধের সন্দেশ: খুব সহজ উপায়ে মাত্র ২ কেজি দুধ এবং আধ কেজি চিনি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দুধের সন্দেশ।
পদ্ধতি: প্রথমে ২ কেজি দুধকে জ্বাল দিয়ে ১ কেজির পরিমাণে নিয়ে আসতে হবে। এর পর দুধে ভাল করে চিনি মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কড়াইয়ে দুধ ধরে না নেয়। মিশ্রণটি একটানা পাক দেওয়ার পর ক্ষীর হয়ে শুকিয়ে আসবে। তখন নামিয়ে ছাঁচে ফেলে সন্দেশ তৈরি করতে হবে।
সুজির নাড়ু: সুজির নাড়ু তৈরি করতে প্রয়োজন ২ কাপ সুজি, ৪ চা চামচ চিনি, ৪ চা চামচ গুঁড়ো দুধ, ২টি এলাচের গুঁড়ো, ৩ চা চামচ ঘি এবং পরিমাণ মতো কিশমিশ।
পদ্ধতি: প্রথমে শুকনো কড়াইতে ভাল করে সুজি ভেজে নিতে হবে। তার পর অর্ধেক ঘি ঢেলে দিতে হবে। সুজির রং হাল্কা লাল হয়ে এলে, ঘি এবং সুজি ভাজার মধ্যে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। কিছু ক্ষণ পরে দুধ ঢেলে এলাচের গুঁড়ো উপর থেকে ভাল করে ছড়িয়ে দিতে হবে মিশ্রণটিতে। এরপর সম্পূর্ণ মিশ্রণটিকে ভাল করে নাড়তে হবে। যখন পাক ধরে আসবে তখন নামিয়ে নিয়ে নাড়ুর আকার দিতে হবে। ব্যস, নাড়ুতে একটি করে কিশমিশ দিয়ে দিলেই পরিবেশনের জন্য তৈরি।
শাহী ক্ষীর: চিরাচরিত পায়েসের বাইরে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন শাহী ক্ষীর। প্রয়োজন- ৫০ গ্রাম চাল (২ ঘণ্টা ভেজানো এবং গুঁড়ো করা), ২ লিটার দুধ, ৭৫ গ্রাম চিনি, আধ চা চামচ সবুজ এলাচ গুঁড়ো, ১ চা চামচ গোলাপ জল, ১ চা চামচ কিশমিশ এবং তরমুজের সাদা বীজ বা চিরঞ্জি। চিরঞ্জি না থাকলে ১ চা চামচ কাজু বাদাম ও সাজানোর জন্য গোলাপের পাপড়ি এবং তবক।
পদ্ধতি: প্রথমে ভাল করে দুধ ফুটিয়ে, তাতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে দিতে হবে। এরপর ক্রমাগত নাড়তে হবে, যাতে জমাট বেঁধে না যায়। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে এবং চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত নেড়ে চিরঞ্জি ও কিশমিশ দিতে হবে। এ বার নামিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে মিশ্রণটি। শেষে তবক, চিরঞ্জি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে ঠান্ডা বা গরম পরিবেশন করতে পারেন।
বিবিখানা: এই মিষ্টি তৈরি করতে প্রয়োজন ১ টি কোরানো নারকেল, ৩০০ গ্রাম পাটালি গুড়, ২০০ গ্রাম সেদ্ধ চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম আতপ চালের গুঁড়ো এবং ১৫০ মিলিমিটার মতো দুধ।
পদ্ধতি: নারকেল কোরা, ২ রকমের চালের গুঁড়ো এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে প্রথমে। এর পরে মিশ্রণটি একটি বেকিং পাত্রে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট মতো বেক করে নিতে হবে। ২০ মিনিট পর বেক হয়ে গেলে গুড়ের রস দিয়ে অতিথিদের পরিবেশন করতে পারেন।
সাবু দানার পায়েস: চালের পায়েসের বদলে লক্ষ্মীপুজোয় বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সাবু দানার পায়েস। ২ লিটার দুধ, সিকি কাপ সাবু দানা, আধ কাপ চিনি, ২ থেকে ৩ টুকরো দারচিনি, ২ থেকে ৩টি এলাচ, এবং সাজানোর জন্য পরিমাণ মতো চেরি, বাদাম এবং কিশমিশ প্রয়োজন।
পদ্ধতি: প্রথমে সামান্য জলে সাবুদানা এক বার ধুয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এর পরে একটি পাত্রে দুধ ঢালতে হবে। দুধে এলাচ ও দারচিনি দিয়ে দিতে হবে। মৃদু আঁচে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করতে হবে মিশ্রণটিকে। এর পর সাবুদানা দিয়ে নাড়তে হবে ভাল করে, যাতে দানা জমে না যায়। সাবুদানাগুলো ক্রমেই আকারে বড় ও স্বচ্ছ হয়ে এলে ১০ মিনিট পর নামিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে এলে চেরি, বাদাম এবং কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy