বাঙালির শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই কেবল মিষ্টির উপর ভরসা! আর মিষ্টি যদি হয় কালাকাঁদের মত, তাহলে তো সব উপলক্ষ্যই জমজমাট। পুজো-পার্বণ হোক বা ভুরিভোজের শেষপাত- বাঙালির ভাঁড়ারে নিখাদ সুস্বাদু এই মিষ্টির জুরি মেলা ভার!
পুজোর সময় অতিথি আপ্যায়নের জন্যে অনেককিছুই তো রান্না হয় হেঁসেলে, এবারে বরং হাতে থাকুক বাড়িতেই খুব সহজে কালাকাঁদ বানানোর রেসিপি।
উপকরণ
৬ কাপ দুধ, দুটো লেবু, কন্ডেন্সড মিল্ক, চিনি, এলাচ, গোলাপ জল আর কেশর।
পদ্ধতি
- বড় ডেকচিতে করে ৬ কাপ মেপে দুধ ফুটতে দিন ওভেনে মাঝারি আঁচে। মাঝে মাঝে কাঠের বড় চামচ দিয়ে হাল্কা নাড়তে থাকুন। তারপর ফুটে গেলে ওভেন থেকে নামিয়ে নিন।
- এর পর এক চামচ এক চামচ করে লেবুর রস দুধে মেশাতে থাকুন। মোটামুটি ২-৩ চামচ লেবুর রস মেশালেই দুধ কেটে যাওয়া উচিত।
- মসলিন কাপড়ে করে দুধ ছেঁকে নিন, কাপড় থেকে ছানা নিয়ে ভালো করে কলের জলে ধুয়ে নিন। এর ফলে লেবুর গন্ধটা চলে যাবে।
- ভাল করে কাপড় চেপে চেপে জল বের করবেন, যদিও একটু আর্দ্র রাখবেন যাতে ছানার স্বাদ ও ধরন নরম থাকে। ৬ কাপ দুধ থেকে মোটামুটি ২২৫ গ্রাম ছানা পেতে পারেন। কলের জলের তলায় ১০ মিনিট কাপড়টিকে ঝুকিয়ে রাখুন।
- এবার প্যানে অল্প অল্প করে ছানাটা পুড় দিয়ে তাঁর মধ্যে কন্ডেন্সড মিল্ক দেবেন যতটা মিষ্টি চান সেই বুঝে। বাড়িতে কালাকাঁদ বানানোর অন্যতম সুবিধে হচ্ছে আপনি নিজের সুবিধে বুঝে মিষ্টি বারাতে বা কমাতে পারেন।
- হাল্কা আঁচে ভাল করে ছানা আর কন্ডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে নিন প্যানের মধ্যে। আসতে আসতে নাড়তে থাকুন কাঠের চামচ দিয়ে যতক্ষণ না পাতলা মিশ্রনটি ঘন হয়ে আসছে।
৭। ১০-১২ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করার পরে প্যানের ধার থেকে ছেড়ে আসবে এই মিশ্রন। তখন এতে গোলাপ জল ও ৩-৪ চামচ এলাচ পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পুরোপুরি শুকনো হওয়ার আগে ওভেন থেকে নামিয়ে নিন।
৮। এবার কোন পাত্রের গায়েতে মাখিয়ে মিশ্রনটি তাতে রাখুন আর উপর দিইয়ে ছোট করে কাটা বাদাম, পেস্তা ইত্যাদি ছড়িয়ে দিন। ২-৩ ঘন্টা ঘরের উষ্ণতায় রেখে দিন পাত্রটিকে।
৯। সবশেষে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন কালাকাঁদগুলিকে। ফ্রিজে রেখে দিন ভালো রাখার জন্য।
এবারের পুজোর রসনায় আর ভাটা পড়তে দেবেন না। রেসিপি অনুযায়ী চটজলদি বানিয়ে নিন মনের মত কালাকাঁদ।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।