‘আগে থেকে শপিং শুরু করলে পুজোর আগেই সব জামা পরে ফেলি’। ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া
পুজো মানেই উন্মাদনা, খাওয়াদাওয়া। কিন্তু ছোটবেলার মতো ওই ‘পুজোর সময়েই নতুন জামা কিনব’, এমনটা এখন আর হয় না। সারা বছরই কেনাকাটা লেগে থাকে। আর আমি আগে থেকে শপিং শুরু করলে পুজোর আগেই সব জামা পরে ফেলি। তাই আমার জন্য ওই লাস্ট মিনিট গিফটই ঠিক আছে। এমনিতে বাড়িতে বাবা গিফট দেন। আর অভিমন্যুর বাড়ি থেকেও ভাল ভাল উপহার আসে।
আসলে পুজোর সময় তো বেশ কিছু জায়গায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকে, ওই সব করতে করতেই বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। তবে সে সমস্ত সামলে পরিবারের জন্য ঠিক সময় বার করে নিই। এ বারেও পুজোর শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা ফিতে কাটার অনুষ্ঠান রয়েছে।
উত্তরের পুজো ভাল না কি দক্ষিণের, তা নিয়ে তো সেই কবে থেকেই লড়াই চলে আসছে। তবে আমার কাছে পাড়ার পুজোর থেকে সেরা কিছু হয় না। আমাদের তো সরকারি কোয়ার্টার্স। সেখানে বিশালে পুজো হয়। কত পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। কারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে, আবার কেউ বা দেশের বাইরে থাকে। পুজোর ওই ক’দিন সবাই আসে। সেখানে অনুষ্ঠান হয়। নাচ, গান, হুল্লোড়, আরও কত কি!
‘পরিবারের জন্য ঠিক সময় বার করে নিই’। ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া।
আমি যেখানে থাকি এখনও সেখানে ওই পাড়া কালচারটা রয়েছে। পাড়ায় আমি এখনও সেই আগের মানালি! সারা রাত বাড়িতে বসে আড্ডা হয়। কত শত না-বলা কথা!
আমার কিন্তু সাবেক পুজোর পাশাপাশি থিম পুজোও খুব ভাল লাগে। আমাদের ছোটবেলায় এত সব থিম পুজোর চল ছিল না। এখন কত দারুণ দারুণ সব পুজো হয় চারপাশে। তবে পুজোর ভিড় বরাবরই না পসন্দ আমার। লাইনে ধাক্কা খেতে খেতে ঠাকুর দেখা মাঝেমধ্যে বেশ বিরক্ত লাগে আমার।
সারা রাত বাড়িতে বসে আড্ডা হয়। কত শত না-বলা কথা! ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া
তবে একটা কথা, আমি আগে পুজোর সময় যা যা করতাম এখনও ঠিক তাই তাই করি। সব কিছু আগের মতোই আছে। ওই অনেকে বলে, পুজোর সময় নাকি প্রেম ট্রেম হয়ে থাকে। আমার কিন্তু কোনও দিনও এমনটা হয়নি। আশা করছি আগামী দিনেও হবে না। তবে হ্যাঁ, অভিমন্যু আর আমি দু’জনেই তো নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকি সারা বছর। ওই পুজোর ক’দিন একটু বেশি বেশি দেখা করার চেষ্টা করি দু’জনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy