এ বছরের বিসর্জনের ঢাকে কাঠি পড়ল। এদেশে তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো'বা একটু আগে। চলুন কানেকটিকাট রাজ্যের স্ট্যামফোর্ড শহরের পুজো নিয়ে।
এখানে পুজোর জন্য অতিরিক্ত ছুটি থাকে না। তাই সপ্তাহের শেষের দিনগুলিতেই এখানে পুজোয় মেতে ওঠে প্রবাসী বাঙালিরা। ২০০২ সাল থেকে এখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছেন বাংলায় এই ছেলেবেলা কাটানো মানুষগুলি। বিদেশের মাটিতে তৈরি করা হয়েছে একটি বাঙালি সংগঠনও। নাম, উদয়নী কালচারাল ক্লাব।
এই সংগঠনের পক্ষ থেকে পুজোর সব আয়োজন করা হয়। অফিসের ছুটি না থাকায় এক দিনের পুজো এখানে। তাদের লক্ষ্য থাকে সপ্তাহের শনিবারে পুজো করা। কারণ এই দিনে ছুটি শুরু হওয়ার ফলে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে পারেন। অনেকটা সময় থাকতেও পারেন বলে দাবি সংগঠকদের।
স্ট্যামফোর্ড শহরে স্কুলের বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া করে পুজো করা হয়। আলপনা দিতে ভোলেন না বিদেশে দিন কাটানো এই প্রবাসী বাঙালিরা। স্বাভাবিকভাবেই মা দুর্গা এখানে নিজের চিরাচরিত রূপেই ধরা দেন। তবে বিসর্জনের অনুমতি না থাকায় প্রতিমা পরের বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু হিন্দু মন্দির রয়েছে ।সেখানকার পুরোহিতদের এই পুজোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরাই পুজো করেন ।
বেশ কয়েক বছর ধরে নিউইয়র্ক কালীবাড়ির পুরোহিত ও ওই অঞ্চলের পুরোহিতরা পুজো করে আসছেন। পুজো এক দিনে করা হলেও, নিয়মের কোনও ফাঁকি রাখা হয় না ।মায়ের বোধন থেকে কলা বউ স্নান অষ্টমীর অঞ্জলি সন্ধিপুজো, ঘট বিসর্জন সবই করা হয়। যেহেতু এক দিনে পুজো তাই খুব সকালেই পুজোয় বসেন পুরোহিত। আগে এদেশ থেকে নামী শিল্পীরা গেলেও বেশ কয়েক বছর তা বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় শিল্পী এবং বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনলাইনেও অনুষ্ঠান করা হয়। ভারত, বাংলাদেশ থেকে অনেকে যোগ দেন সেখানে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy