এডিনবরায় 'সাবাশ' কমিটির দুর্গা প্রতিমা
পুজো শুরু হতে আর কয়েকটা মোটে দিন। বরাবরই শারদীয়ার সময়টায় বাঙালি, কলকাতা আর দুর্গাপুজো যেমন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তেমনই দূর বিদেশে উদযাপন এক সুতোয় গেঁথে দেয় প্রবাসী বাঙালি, প্রবাস আর পুজোকে।
এ বছর কলকাতার মন ভাল নেই। আকাশে-বাতাসে ম ম করছে না দুর্গাপুজোর গন্ধ। ৯ অগস্টের পর থেকেই বিষাদের সুর চার পাশে। তাই বোধহয় বিষন্ন মা দুর্গাও। কলকাতার এই বিষাদ, উত্তাল আন্দোলনের রেশ ছুঁয়ে গিয়েছে ভিনদেশে থাকা বাঙালিদের। সুবিচারের দাবিতে তাই শামিল হয়েছে এডিনবরাও। তার মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে সেখানকার 'সাবাশ 'কমিটির মাতৃবন্দনায় একত্রিত হবেন স্থানীয় বাঙালিরা।
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির মধ্যে টক্কর থাকে জোরালো। সেই তালিকায় বয়সে নবীন হলেও এডিনবরা দুর্গোৎসবের কথা এখন বাংলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছর ১১তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। শারদীয়ার প্রত্যেক দিন এখানে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া। ছোট্ট পরিবেশে বাংলার রূপকে তুলে ধরেন উদ্যোক্তারা। নাচ, গান, আবৃত্তি, জমাটি আড্ডা নিয়ে ষষ্ঠী থেকে দশমী মেতে ওঠেন এলাকার প্রবাসী বাঙালিরা।
এডিনবরায় 'সাবাশ' কমিটির এক সদস্য বলেন, “এই সুদূর স্কটল্যান্ডে এডিনবরা শহরে আমরা প্রতিবাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। তবু সবাই মিলে আয়োজন করছি এই বছর পুজোর। মা আসছেন আলো করে। আকাশ বাতাসে যেন পুজো পুজো ভাব। ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া সেই শিউলি ফুলের গন্ধ যেন এখনও হারিয়ে যায়নি। এ বারে খুব মন খারাপ। আমাদের সবার প্রিয় শহর কালিমালিপ্ত হওয়ায়, তিলোত্তমাকে নিরাপত্তা দিতে না পারায়। তাই মায়ের কাছে প্রার্থনা করব। বলব, মা, তুমি দেখো মেয়েটা যেন বিচার পায়। সবাই যেন বিচার পায়, যারা এ ভাবে অত্যাচারিত আর লাঞ্ছিত হয়।"
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy