নিজস্ব চিত্র।
আগমনী— এই একটা শব্দই বাঙালির মনে আলোড়ন জাগাতে যথেষ্ট! আমরা প্রবাসে বাস করা বাঙালিরা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই থাকি না কেন, ঝকঝকে নীল আকাশে তুলোমেঘ দেখে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই! বছরের যে কোনও সময়ে ইউটিউবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ শুনে রোমাঞ্চ অনুভব করি। বিজয়া দশমীর ঠিক পরদিন থেকেই আবার দিন গুনতে শুরু করি পরের পুজোর অপেক্ষায়! যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমন আগমনীর সুর বাজে, তাদের পুজোর নামও যে ‘আগমনী’ হবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
সানফ্রান্সিস্কো বে এরিয়ার আরও অনেক দূর্গাপুজোর মধ্যে ‘আগমনী’ তাই সকলের বড় আপন! আমাদের পুজোয় আছে পাড়ার পুজোর আন্তরিকতা| একান্নবৰ্তী পারিবারের ঘরোয়া পুজোর টান| আগমনীর সকল সদস্য যেন সেই একান্নবর্তী পরিবারেরই অংশ! শুধু প্রতি বছরের পুজোই নয়, সারা বছর আমরা একে অপরের ভালমন্দে পাশে থাকি। সকলে সকলের পরিজন হয়ে উঠি| বিশেষত, গত দেড় বছরে পৃথিবী যে ঝড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে ‘আগমনী’ পরিবার আরও বিস্তৃত হয়েছে, আরও কাছাকাছি এসেছে। দুঃসময়ে একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুধু পরিবারের মধ্যেই নয়, ‘আগমনী’ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে তার বাইরেও। আমাদের সীমিত সাধ্যমতো আমরা পাশে থেকেছি ‘মিল্স অন হুইল্স’-এর। যারা অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষদের খাবার পৌঁছে দিয়েছে কোভিডের মধ্যে| পাশে থেকেছি কলকাতার ‘মুক্তি ফাউন্ডেশন’-এর। যারা বিগত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
‘আগমনী’-র দূর্গাপুজোর এবার পঞ্চম বর্ষ| সমস্ত কোভিড আচরণবিধি মেনেই এ বছরের জন্য জোরদার ব্যবস্থা করেছেন কর্মকর্তারা| অক্টোবরের ৮, ৯ এবং ১০ তারিখে ছিল আনন্দযজ্ঞের আয়োজন। পুজো হয়েছে সবুজের সমারোহের মধ্যে। সান রামোন শহরের নয়নাভিরাম সেন্ট্রাল পার্কে। ছিল কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া, এবং জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিল থাকছে ফ্যাশন শো, ধুনুচিনাচ, বাংলা ব্যান্ড এবং আরও অনেক কিছু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy