উল্কি আঁকতে গিয়ে বিপাকে ব্রিটিশ তরুণী। প্রতীকী ছবি।
শরীরের নানা অংশে ট্যাটু করিয়ে শখ পূরণ করেন অনেকেই। বাহারি নকশা থেকে শুরু করে প্রিয় জনের নাম, ট্যাটুতে ইচ্ছামতো ছবি বা লেখা ফুটিয়ে তোলা যায়। কিন্তু এই ট্যাটু বা উল্কি আঁকতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন এক ব্রিটিশ তরুণী। অভিযোগ, ট্যাটুর জন্য তাঁর সামাজিক জীবন বিঘ্নিত হয়েছে।
ব্রিটেনের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম মেলিসা স্লোয়ান। সাত সন্তানের জননী তিনি। শরীরের নানা অংশে ট্যাটু আঁকতে ভালবাসেন মেলিসা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এই ট্যাটুর জন্য তাঁকে নিয়ে সকলে ঠাট্টা-তামাশা করেন। এমনকি রেস্তরাঁ কিংবা পাবেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
মেলিসার সারা শরীরে অন্তত ৮০০টি ট্যাটু রয়েছে। মুখ থেকে শুরু করে পা, কোনও অংশই বাদ যায়নি। অভিযোগ, তাঁর এই উল্কির বাহুল্য নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরা নানা রকম আলোচনা করেন। কেউ তাঁর সঙ্গে বেশি মিশতে চান না। ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়েন মেলিসা। অভিভাবকরা তাঁকে এড়িয়ে চলেন।
মেলিসা বলেন, ‘‘আমি যেমন, তেমন ভাবে আমাকে গ্রহণ করে না সমাজ। আমাকে কেউ বড়দিনের পার্টিতেও ডাকে না। আমি সকলের সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দে কাটাতে চাই। নিজের মতো করে জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই। কিন্তু আমাকে তা করতে দেওয়া হয় না।’’
একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মেলিসা জানিয়েছেন, ট্যাটু তাঁর এতই পছন্দ যে, সপ্তাহে তিন দিন তিনি কোনও না কোনও ট্যাটু আঁকেন শরীরে।
স্থানীয় রেস্তরাঁ এবং পাবগুলিতে কেন ব্রিটিশ তরুণীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। ট্যাটুর জন্যই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তরুণী দাবি করেছেন, তাঁকে নিষিদ্ধ করার আর অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে না।