অনেকের দাবি, চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর নামের বানানের সঙ্গে ‘জাই’ অক্ষর মিলে যাওয়ায় সচেতন ভাবেই তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর দিয়েই করোনাভাইরাসের বিভিন্ন রূপের নামকরণ করা শুরু করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই নিয়ম মেনেই করোনার প্রথম হদিশ পাওয়া রূপের নাম ‘আলফা’ রাখা হয়েছিল। এই ভাবেই পর্যায়ক্রমে অন্য রূপগুলির নাম রাখা হয়েছিল ‘বিটা’, ‘গামা’, ‘ডেল্টা’ ও ‘কাপ্পা’। কিন্তু সদ্য হদিশ পাওয়া করোনার নয়া রূপের নামকরণে সেই নিয়ম ভাঙল হু।
সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া করোনাভাইরাসের রূপ বি.১.১.৫২৯-এর নাম ‘ওমিক্রন’ দিয়েছে হু। যা গ্রিক বর্ণমালার ১৫ নম্বর অক্ষর। অন্য দিকে, হু-এর পদ্ধতি অনুযায়ী এই রূপের নাম গ্রিক বর্ণমালার ১৩ নম্বর অক্ষর ‘নিউ’ অথবা ১৪ নম্বর অক্ষর ‘জাই’ হওয়া উচিত ছিল বলেই অনেকে দাবি করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, ইংরেজি শব্দ ‘নিউ’-এর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর ‘নিউ’-এর উচ্চারণ মিলে যাওয়ায় নয়া রূপের উৎপত্তির সময় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলেই ওই অক্ষরটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যুক্তিকে মেনে নিলেও পরের ‘জাই’ অক্ষরকে কেন বাদ দিল হু? জোরালো হয়েছে এই প্রশ্ন।
অনেকের দাবি, চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর নামের বানানের সঙ্গে ‘জাই’ অক্ষর মিলে যাওয়ায় সচেতন ভাবেই তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর সম্পাদক পল নুকি হু-এর এক সূত্রের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে জানিয়েছেন, করোনার নতুন রূপের নাম ‘জাই’ রাখা হলে তা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ‘কলঙ্কিত’ করত।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চিনেই, বিশ্বের একাধিক দেশের এই দাবি ঘিরে প্রায়ই বিতর্ক দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, সেই সময় হু-এর বিরুদ্ধে চিনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন অনেকে। হয়তো সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই ‘জাই’ অক্ষর এড়িয়ে নতুন রূপের নাম হু ‘ওমিক্রন’ রেখেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।