রয় কৃষ্ণ। ফাইল ছবি
মাত্র তিন বছর রয়েছেন ক্লাবে। এর মধ্যেই যেন সবুজ-মেরুন জনতার চোখের মণি হয়ে উঠেছেন রয় কৃষ্ণ। পরপর তিনটি ডার্বিতে গোল করা সহজ কাজ নয়। অতীতে দিকপাল ফুটবলাররাও পারেননি। কিন্তু সেই কাজই যেন কত অনায়াসে করে দেখালেন ফিজির তারকা। গত বারের দুটি কলকাতা ডার্বির পর এ মরসুমের প্রথম ডার্বিতেও প্রথম গোল এল তাঁর পা থেকে।
অতীতে মোহন-জনতা বার বার কোনও না কোনও বিদেশিকে এ ভাবেই বুকে টেনে নিয়েছে। কখনও তাঁর নাম চিমা ওকেরি, কখনও জোসে রামিরেজ ব্যারেটো, কখনও আবার সনি নর্দে। সেই তালিকায় যে রয় কৃষ্ণ ইতিমধ্যেই জায়গা পেয়ে গিয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
মাঠে নামলে তাঁর মতো ক্ষিপ্র ফুটবলার খুব কমই রয়েছে। এ কারণেই কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের প্রিয় ফুটবলার তিনি। সেই ২০১৯-২০ মরসুমে তৎকালীন এটিকে-তে কৃষ্ণকে সই করিয়েছিলেন হাবাস। ওয়েলিংটন ফিনিক্স থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন তাঁকে। কলকাতায় এসে যাতে কৃষ্ণ একা না হয়ে পড়েন, তাই ওয়েলিংটন ফিনিক্স থেকে তাঁর সঙ্গী ডেভিড উইলিয়ামসকেও তুলে এনেছিলেন তিনি। দু’জনে মিলে ফুল ফোটালেন সবুজ ঘাসে।
সেই মরসুমে ১৫টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন কৃষ্ণ। দলকে ট্রফি জিতিয়েছিলেন। পরের বছর মোহনবাগানের সঙ্গে জুড়ে যায় এটিকে। ক্লাবের নাম বদলে গেলেও বদলাননি কৃষ্ণ। তখন শুধু এটিকে সমর্থকদের পাশে পেতেন। এ বার তাঁর পাশে চলে এলেন লক্ষ লক্ষ সবুজ-মেরুন সমর্থক। প্রথম কলকাতা ডার্বিতে গোল করে সমর্থকদের মন জয় করে নিলেন ফিজির অধিনায়ক। তারপর থেকে ডার্বি মানেই তাঁর গোল। যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মরসুমেও ফাইনালে উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কৃষ্ণ ১৪টি গোল করেন। এ বার দু’ম্যাচেই দু’টি গোল হয়ে গেল।
গত বার প্রথম ম্যাচেই কলকাতা ডার্বিতে খেলতে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন কৃষ্ণ। দ্বিতীয় ডার্বিতে ১৫ মিনিটে গোল করেন। তৃতীয় ডার্বিতে আরও আগে, ১২ মিনিটে গোল করলেন। অর্থাৎ যত ম্যাচ এগোচ্ছে, কৃষ্ণের গোল করার সময়ও যেন ততটাই এগিয়ে আসছে। এ বারের আইএসএল-এর দ্বিতীয় দফার ডার্বির তারিখ এখনও ঘোষিত হয়নি। কিন্তু সবুজ-মেরুন জনতা এখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তাঁকে নিয়ে।