বাঁদিকে মাসুদ পেজ়েশকিয়ান, ডান দিকে প্রবেশ বর্মা। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়া সফরে গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশিদারিত্ব চুক্তি’ করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। যার অন্যতম অংশ মস্কো-তেহরান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। চুক্তি সইয়ের পর পুতিন বলেন, ‘‘এই ঐতিহাসিক সমঝোতা আঞ্চলিক সুস্থিতি ফেরাতে সহায়ক হবে।’’
আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন। তার আগে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দুই দেশের চুক্তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি গৃহযুদ্ধে পরাস্ত হয়ে রাশিয়া এবং ইরানের ‘মিত্র’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কোয় পালিয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও চাপে রয়েছে রাশিয়া। এই আবহে পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা করলেন পুতিন।
ঘটনাচক্রে, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সখ্য সুবিদিত। আবার প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প তাঁর কট্টর ইরান বিরোধী নীতির জন্যও পরিচিত ছিলেন। গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সে দেশের তিন এজেন্সি— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফবিআই), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দফতর (ওডিএনআই) এবং সাইবার পরিকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা অভিযোগ তুলেছিল রাশিয়া এবং ইরান যৌথ ভাবে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পরে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছিল এফবিআই। সেই চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল ইরান সেনার ‘রেভলিউশনারি গার্ড কোর’-এর বিরুদ্ধে। যদিও পেজ়েশকিয়ান সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।