আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার তাঁর ইজ়রায়েলের মাটিতে পা রাখার কথা। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই মুহূর্তে ইজ়রায়েলের তেল আভিভ শহরে আছেন। সেখান থেকেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন সোমবার বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার ইজ়রায়েলে আসছেন। ইজ়রায়েল, পশ্চিম এশিয়া এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটা একটা কঠিন সময়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য ইজ়রায়েল এবং আমেরিকার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। বাইডেন আসার পরেই গাজ়ায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।
শুধু আমেরিকা নয়, অন্য দেশ থেকেও সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে গাজ়ায়। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধে আমেরিকা ইজ়রায়েলের পক্ষ নিয়েছে। তবে প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের ফলে যে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে আমেরিকা। প্যালেস্তাইনে, বিশেষত গাজ়ায় সাহায্য পৌঁছে দিতে চায় তারা। বাইডেন এ-ও জানিয়েছেন, ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে গাজ়া দখল করতে চাইলে তা হবে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’।
গত শনিবার হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালায়। তার পরেই পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইজ়রায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিকে পাশে পেয়েছে ইজ়রায়েল। এমনকি, ভারত সরকারও এই যুদ্ধে তাদের পক্ষ নিয়েছে এবং হামাসের হামলার বিরোধিতা করেছে। পশ্চিম এশিয়ায় প্রায় ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে শুধু গাজ়াতেই নিহতের সংখ্যা ২,৭০০-র বেশি।