গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সীমান্তপারের সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভবিষ্যতে ফের কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে বিমানহানার মতো ঘটনারও পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা রয়েছে পুরোমাত্রায়। আমেরিকার সাম্প্রতিক একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার অনুঘটক হতে পারে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ফ্রান্সের বিয়ারিত্জে শহরে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সন্ত্রাসের পাশাপাশি এসেছিল কাশ্মীরের আমজনতার মানবাধিকারের প্রসঙ্গও। মোদী সেই বৈঠকে ট্রাম্পকে স্পষ্ট বার্তা দেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেটা ১৯৪৭ সাল থেকেই। সেই সমস্যাগুলো দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ কোনও ভাবেই মেনে নেবে না ভারত।
আমেরিকার ‘অফিস অফ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স’ (ওডিএনআই)-এর সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্টে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনাবৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের অ-নির্ধারিত সীমান্তে সামরিক আধিপত্যবাদের কারণে ফের সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। যা আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থী।’ লাদাখের গালওয়ানা উপত্যকায় ২০২০-র সংঘর্ষ এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির কথাও রয়েছে রিপোর্টে।
তবে ওডিএনআই-এর ওই রিপোর্টে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তাইওয়ানে চিনা পৌজের আগ্রাসনের সম্ভাবনা নিয়ে। ‘এক চিন নীতি’ কার্যকর করতে শি জিনপিংয়ের সেনা তাইওয়ান আক্রমণ করলে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হবে বলে ওই রিপোর্টের পূর্বাভাস। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ট্রাম্প আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ইউক্রেনে রুশ হানার পর উৎসাহী হয়ে চিন এ বার তাইওয়ান দখলের অভিযানে নামতে পারে।