8-4-3 Rule Of SIP

মিউচুয়াল ফান্ডে ৮:৪:৩ নিয়ম কী? বিনিয়োগে কী ভাবেই বা এটি সহায়তা করে?

৮:৪:৩ নিয়ম এমন একটি কৌশল যা বিনিয়োগকারীদের তাদের মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৭
Share:

চিত্র: সংগৃহীত (প্রতীকী চিত্র)

বিনিয়োগ একটি জটিল প্রক্রিয়া, বিশেষত যাঁরা এই আর্থিক বাজারে নতুন, তাঁদের জন্য তো বটেই। কিন্তু কিছু কৌশলের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে সহজ করা যায়, যা আয় বাড়াতেও সাহায্য করে। এই রকমই দু’টি কৌশল হল ৮:৪:৩ নিয়ম এবং ৭২-এর নিয়ম।

Advertisement

৮:৪:৩ নিয়ম কী?

৮:৪:৩ নিয়ম এমন একটি কৌশল যা বিনিয়োগকারীদের তাদের মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কোনও বিনিয়োগকারী যদি ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন-সহ একটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, তবে তার বিনিয়োগ প্রতি ৮ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হবে। প্রথম দ্বিগুণ হওয়ার পরে, পরবর্তী ৪ বছরে এটি আবার দ্বিগুণ হবে এবং তার পরে পরবর্তী ৩ বছরে দ্বিগুণ হবে।

Advertisement

৮:৪:৩ নিয়ম প্রয়োগ করার অর্থ হল আপনার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ১৫ বছরে চার গুণ হবে এবং ২১ বছরে আট গুণ বৃদ্ধি পাবে।

এই নিয়ম বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে, যা বাজারের অস্থিরতার সময়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

কম্পাউন্ডিং সুদ

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বিনিয়োগের আয় তাদের নিজস্ব আয় তৈরি করে। তাই আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রারম্ভিক বিনিয়োগের উপর নয় বরং প্রতি ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সময়ের থেকে জমা হওয়া সুদের উপরেও সুদ অর্জন করতে পারেন। এই প্রক্রিয়া একটি স্নোবল প্রভাব তৈরি করে, যেখানে বিনিয়োগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি বার্ষিক ১০ শতাংশ সুদের হারে ১০০ টাকা জমা করেন, তা হলে এক বছর পরে আপনার কাছে ১১০ টাকা থাকবে। পরের বছর, আপনি ১১০ টাকায় ১০ শতাংশ সুদ পাবেন, যার ফলে আপনার মোট অর্থ হবে ১২১ টাকা। এই প্রক্রিয়াটি প্রতি বছর চলতে থাকে, যার ফলে আপনার অর্থও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

সুবিধা

বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া

বাজারের অস্থায়ী অবস্থার মধ্যেও ৮:৪:৩ নিয়ম বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই কৌশল বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যগুলির প্রতি অবিচল থাকতে দেয়।

মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা

এই নিয়ম অনুসরণ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে কাজ করে। ১২% গড় বার্ষিক রিটার্ন অর্জন করে বিনিয়োগগুলি মুদ্রাস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখতে পারে। বিনিয়োগের প্রকৃত মূল্য যাতে অক্ষত থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতাও বজায় রাখে, এটি তা নিশ্চিত করে।

বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া

এই নিয়ম বিনিয়োগকারীদের বাজারের পরিবর্তন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বাজার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারেন এবং সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে পারেন।

৭২-এর নিয়ম কী?

আপনার বিনিয়োগ দ্বিগুণ হতে কত সময় লাগবে, তা অনুমান করার জন্য ৭২-এর নিয়ম হল একটি সহজ উপায়। বার্ষিক সুদের হার দিয়ে ৭২-কে ভাগ করে, আপনি আন্দাজ করতে পারেন অর্থ দ্বিগুণ করতে কত বছর লাগবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি ১০ শতাংশ বার্ষিক সুদের হারে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তা হলে প্রায় ৭২/১০ = ৭.২ বছরে আপনার বিনিয়োগ দ্বিগুণ হবে।

‘টাকা টক্‌’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।

এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্‌’ ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement