ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন,‘‘রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলা চালিয়েছে। তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে ঘিরে রেখেছে। তবে স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের হারানোর আর কিছুই নেই। ইউক্রেনকে তার বন্ধুরা প্রতিদিন অস্ত্র সাহায্য করছেন।’’
ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, তারাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে রুশ বাহিনীকে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিয়ো বার্তায় বললেন,‘‘আমরা প্রতিটি বাড়ি, রাস্তা এবং শহরকে আবার সাজিয়ে তুলব। কিন্তু রাশিয়াকে বলছি, আপনারা জেনে রাখুন, ইউক্রনীয়দের বিরুদ্ধে আপনারা যা করেছেন তার দাম আপনাদের গুণে গুণে ফেরত দিতে হবে।’’
তিনি বলেন,‘‘রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলা চালিয়েছে। তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে ঘিরে রেখেছে। তবে স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের হারানোর আর কিছুই নেই। ইউক্রেনকে তার বন্ধুরা প্রতিদিন অস্ত্র সাহায্য করছেন।’’
কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শহরের পরিস্থিতি ‘কঠিন হলেও নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। রাতের মধ্যে কোনও হতাহতের ঘটনা নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে রাতে যে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে তাঁর দাবি, সেগুলি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার শব্দ। যা ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বারবারই উঠে আসছে পরমাণু যুদ্ধের প্রসঙ্গ। যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া, মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘‘পশ্চিমী রাজনীতিবিদদের মাথায় পরমাণু যুদ্ধের প্রসঙ্গ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ার মাথায় তেমন কিছু নেই।’’
রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ দিকে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কিভ, খারকিভ এবং মারিউপোল ছাড়ার জন্য ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করেছে রাশিয়া।