রাশিয়ার সঙ্গে কোনও রকম প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে জড়াবে না আমেরিকা, জানালেন বাইডেন ফাইল চিত্র ।
ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে সমস্ত রকমের সাহায্য করবে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে কোনও রকম প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে জড়াবে না তারা। বুধবার আবারও এক বার এ কথা স্পষ্ট করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকা এবং তাদের জোটসঙ্গীরা অন্য নেটো দেশগুলিকে বাইরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সবসময় তত্পর থাকবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় বাইডেন বলেন, ‘‘নেটো দেশগুলিকে রক্ষা করতে আমেরিকা এবং তাদের জোটসঙ্গীরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনবাসীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও দীর্ঘ লড়াইয়ের ক্ষেত্রে পুতিনকে মূল্য চোকাতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাহিনী ইউক্রেনের মাটিতে তাদের হয়ে লড়বে না। কিন্তু নেটো দেশগুলিকে রক্ষা করব এবং পুতিনকে আরও পশ্চিমের দিকে এগোনো থেকে রক্ষা করবে। পোল্যান্ড, ইউক্রেন, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়ার মতো নেটো দেশগুলিকে রক্ষা করার স্বার্থে আমেরিকা স্থল, বায়ু এবং নৌসেনা তৈরি রেখেছে।’’
পুতিন কিভকে চার দিক দিয়ে ঘিরে ফেললেও কোনও দিন ইউক্রেনবাসীর মন জয় করতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার সপ্তম দিনে পা দিল রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত। মস্কোর পুরোদস্তুর আঘাতে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত কিভ। ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেনার পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অনেক দেশ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি সঙ্ঘাতে না জড়ালেও সামরিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ।
আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে মোট প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু’হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা)-এর অস্ত্র পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও আমেরিকার কাছে কিছু ট্যাঙ্ক এবং বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রও চেয়ে পাঠিয়েছে ইউক্রেন। এই অস্ত্রগুলিও শীঘ্রই পাঠানো হবে বলেও পেন্টাগন জানিয়েছে। এ ছাড়াও ইউক্রেনের সামনের সারির যোদ্ধাদের জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পাঠিয়েছে বাইডেন সরকার।