প্রতীকী ছবি।
অক্সফোর্ডের করোনা টিকার অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল ব্রিটেন সরকার। সোমবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বরিস জনসনের সরকারি সূত্রে খবর। শুরু হয়েছে টিকার ফলাফল পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পর্যবেক্ষণের পর ফলাফল বিশ্লেষণ করে খুব শীঘ্রই টিকার অনুমোদন দিতে পারে বরিস জনসনের সরকার।
২ নভেম্বর থেকে লন্ডনের একটি হাসপাতালকে টিকা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিল ব্রিটেন সরকার। কিন্তু তখনও বিষয়টি ততটা স্পষ্ট হয়নি। মঙ্গলবার জানা গেল, সেই প্রক্রিয়া আসলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের যে ফলাফল এ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। একই সঙ্গে ওই হাসপাতালে চলছে ‘রিয়েল টাইম’ পর্যবেক্ষণ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক আধিকারিকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষকদের সঙ্গে কথা বলছেন এমএইচআরএ-র আধিকারিকরা। তিনটি ধাপে যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে, সেগুলিতে অংশগ্রহণকারী বাছাই থেকে তার তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা। পাশাপাশি ওষুধ প্রস্তুতাকারী সংস্থার আধিকারিক ও বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও একই ভাবে তাঁরা পর্যালোচনা করছেন। টিকা চূড়ান্ত হলে উৎপাদন ও বণ্টনের পদ্ধতি কী হবে বোঝার চেষ্টা করছেন সেই সব বিষয়ও।
আরও পড়ুন: চিনকে চাপে ফেলে বঙ্গোপসাগরে মালবার নৌ মহড়া শুরু চতুর্দেশীয় অক্ষের
আরও পড়ুন: ‘উইপোকা’ বাংলাদেশ অর্থনীতিতে টপকাচ্ছে ভারতকে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘ক্ষণস্থায়ী’
বিশ্বের বহু দেশই টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে রয়েছে। অক্সফোর্ডের এই টিকা তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সেই টিকা কবে সাধারণ মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে, কবে চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে, তা নিয়ে বিস্তর কৌতূহল আমজনতা থেকে বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সেই সব জল্পনার অবসান খুব শীঘ্রই হবে বলেই মনে করছেন বিশ্বের বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞরা। কত দিনের মধ্য়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে এমএইচআরএ বা বরিস জনসনের প্রশাসন কিছু না জানালেও মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই অনুমোদন পাবে অক্সফোর্ডের এই টিকা।