ছবি: সংগৃহীত।
ইজ়রায়েলের যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে অন্তত দু’জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলার। এর মধ্যে যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে, তাঁরা বয়সে তরুণ। গত ৭ অক্টোবর, যে দিন প্রথম ইজ়রায়েলে আচমকা হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস, সেই দিনই দু’জনের মৃত্যু হয়। রবিবার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
নিহত দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণীর মধ্যে এক জনের বয়স ২২। তিনি ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদাধিকারী। হোম ফ্রন্টের কমান্ডার ছিলেন। বাড়ি ইজ়রায়েলের অ্যাশডোডে। তবে তাঁর পরিবার ভারতীয়। দ্বিতীয় জনের নাম কিম ডোকরাকর। জন্মসূত্রে মরাঠি এই তরুণী ইজ়রায়েলের সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাহিনীর একজন পদস্থ অফিসার ছিলেন। দু’জনেই যুদ্ধে শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াই চলাকালীন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ইজ়রায়েলের সেনা সূত্রে।
সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য বলছে, ইজ়রায়েল বনাম হামাসের যুদ্ধে গত ৯ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ইজ়রায়েলের ২৮৬ জন সেনা। নিহত হয়েছেন ৫১ ডন পুলিশ অফিসারও। এর পাশাপাশি অনেককে অপহরণ করেও নিয়ে গিয়েছে হামাস বাহিনী। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ইজ়রায়েল প্রশাসন।
সূত্রের খবর, এই দুই ভারতীয় তরুণী অফিসার ছাড়াও আরও একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলার মৃত্যু হয়েছে গাজ়ার যুদ্ধে। তবে সেই মহিলার নাম বা পরিচয় নিয়ে এখনও যথাযথ তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ইজ়রায়েল বনাম হামাসের যুদ্ধে দু’পক্ষেরই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক দিকে ইজ়রায়েলের গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষকে যথেচ্ছ হত্যা করার অভিযোগ উঠছে হামাসের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, গাজ়া ভূখণ্ডে নিরন্তর বোমা বর্ষণ করছে ইজ়রায়েল। যার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজ়ার উত্তরাঞ্চল। প্রত্যেক দিন মৃত্যুসংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। গত ন’দিনে শুধু গাজ়ায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬০০ জনের। জখম সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি।
যুদ্ধের জেরে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনে আটকে পড়েছেন ভারতীয়রাও। তাঁদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে ‘অপারেশন অজয়’ চালু করেছে ভারত সরকার।