চুরি করতে করতে সকাল হয়ে গেল। —ফাইল ছবি
চুরি করতে করতে কখন যে সকাল হয়ে গিয়েছে, বুঝতেই পারেননি চোর। কাজ মিটিয়ে ফিরতে গিয়ে কার্যত মাথায় বাজ! সকালের আলো ফুটে গিয়েছে যে! রাস্তায় লোকজন চলাফেরাও করতে শুরু করেছে। চুরি করা জিনিসপত্র নিয়ে এর মাঝে বেরোতে গেলেই নিশ্চিত গণপিটুনি। সে কথা ভেবেই পুলিশের ৯৯৯-তে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন চোর। ফোন পেয়ে ওই চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলার এ আর খান বাজারের। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, বাজারের একটি মুদির দোকানে চুরি করতে ঢুকেছিলেন বছর চল্লিশের ইয়াসিন খাঁ। ভোররাতে সূর্যের আলো ফোটার আগেই দোকানের তালা ভাঙেন তিনি। ভিতরে ঢুকে একাধিক জিনিস নিজের ঝুলিতে ভরেন। কিন্তু দোকান থেকে বেরোনোর সময় দেখেন সকাল হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় লোকজন চলাফেরা করছে। ঝুঁকি না নিয়ে তিনি ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইয়াসিন তাদের ফোন করে জানান, তিনি খুন বিপদে পড়েছেন। তাঁকে যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের ভিতর থেকে চোরকে উদ্ধার করেন। পুলিশের কাছে ইয়াসিন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি এক জন পেশাদার চোর।
যে দোকানে চুরি করতে ঢুকে এই কাণ্ড, সেই দোকানের মালিক ঝন্টু মিঞা বলেন, ‘‘সকালে আমার দোকানের সামনে কেন পুলিশ এসেছে সেই খোঁজে আমি তড়িঘড়ি চলে আসি। তার পর জানতে পারি দোকানে চোর ঢুকেছিল। বেরোনোর জন্য ৯৯৯-তে ফোন করে সাহায্য চেয়েছে। অনেক ভাল ভাল জিনিস সে ব্যাগে ভরেছিল। কিন্তু কিছু নিতে পারেনি।’’
চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইয়াসিনকে। স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা জানাচ্ছেন, চাকরি জীবনে এমন ঘটনার কথা তাঁরা কখনও শোনেননি।