TET Protest

অনশনে অনড়, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন হাতে নিয়ে ধর্নামঞ্চে ফিরলেন পিয়ালি

চতুর্থ দিনে পড়ল চাকরির দাবিতে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আমরণ অনশন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের এই অনশন মঞ্চে তিরিশ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ১৬:০৫
Share:

ধর্নামঞ্চে অসুস্থ অনেকে। নিজস্ব চিত্র

চাকরির দাবি অনশনরত টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী হাসপাতাল থেকে স্যালাইন নিয়ে ফের অনশনে বসলেন। অসুস্থ শরীরেও অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে পড়ল চাকরির দাবিতে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আমরণ অনশন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের এই অনশন মঞ্চে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট তিরিশ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গিয়েছে। সকালেই অসুস্থ অবস্থায় ৩ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর সেবা হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে এক জনকে স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন চিকিৎসকেরা।

অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীরা হলেন পিয়ালি দে, রোকেয়া খাতুন এবং জয়িতা মণ্ডল। এঁদের মধ্যে স্যালাইন নিয়ে আবার অনশনে বসেছেন পিয়ালি। এ ছাড়াও কোলে সন্তান নিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জয়িতা। সুগার, এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তিনি। বুকে ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। আর এক প্রার্থী রোকেয়া স্পন্ডিলাইটিস রোগী। কোনও অসুস্থতাই তাঁদের টলাতে পারেনি।

Advertisement

হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলে পিয়ালি স্যালাইন হাতেই আবার অনশন মঞ্চে ফিরে আসেন। তাঁর দাবি, চার দিন ধরে খাওয়াদাওয়া কিছুই হচ্ছে না। জলও খাচ্ছেন না। অনশন মঞ্চে শৌচাগারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কোনও ভাবেই অনশন তুলবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, চাকরির নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অনশন জারি থাকবে।

২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের সঙ্গে ২০১৪ সালের অনশনরত প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত মিলেছে। সে প্রসঙ্গে আন্দোলনরত আর এক চাকরিপ্রার্থী অর্ণব ঘোষের বক্তব্য, ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর বা তাঁর সহযোদ্ধাদের কোনও শত্রুতা নেই। তাঁদের আন্দোলন পর্ষদের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুই পৃথক বছরের প্রার্থীদের মধ্যে পরিকল্পনামাফিক বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, “এর পিছনে বিশেষ রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement