প্রতীকী ছবি।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। তার উপর প্রচন্ড তুষারপাত হচ্ছিল। একটি বাড়ি ফাঁকা দেখতে পেয়ে জানলা ভেঙে ঢুকে পড়ে চোর। রাতে খাওয়াদাওয়া করে, টিভি দেখে, আরাম করে বিছানায় ঘুমিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেন তিনি। যাওয়ার আগে বাড়ির মালিকের জন্য একটি কাগজে লিখে রেখে যান, ‘জানলার কাচ ভাঙার জন্য দুঃখিত।’ সেই কাগজের পাশেই নগদ ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন তিনি।
গত ৩০ জানুয়ারি মালিক সান্টা ফে ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাড়ির জানলার কাচ ভাঙা। তাঁর আর বুঝতে বাকি ছিল না যে কী হয়েছে বাড়িতে। অবাক হওয়ার পালা আরও ছিল সান্টার। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই তিনি দেখেন যে অবস্থায় ঘরের প্রতিটি জিনিস দেখে গিয়েছিলেন ঠিক সেই রকম অবস্থাতেই রয়েছে। খোওয়া যায়নি মূল্যবান কোনও জিনিসও।
অন্য একটি ঘরে ঢুকতেই টেবিলের উপর রাখা একটি সাদা কাগজ, তাতে কিছু লেখা এবং সেই কাগজের উপর ২০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা) রাখা। কাগজে লেখা— ‘দুঃখিত, জানলার কাচ ভাঙার জন্য। ক্ষতিপূরণ দিয়ে গেলাম। পারলে ক্ষমা করে দেবেন।’
পরে সান্টা জানতে পারেন তাঁর ঘরে যে চোর ঢুকেছিল তিনি ধরা পড়েছেন। ধৃতের নাম টেরাল ক্রিস্টেসন। বছর চৌত্রিশের ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রচন্ড তুষারপাত হচ্ছিল। একটু আশ্রয় খুঁজছিলেন। তাই বাধ্য হয়েই ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু জানলার কাচ ভেঙে ঢোকার জন্য তাঁর মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করেছিল। তাই যাওয়ার আগে ক্ষতিপূরণ দিয়ে গিয়েছেন। টেরাল আরও জানিয়েছেন, সান্টার বাড়িতে ঢুকে ঘুমিয়েছেন, খাবার খেয়েছেন কিন্তু কোনও মূল্যবান জিনিস চুরি করেনননি। টেরাল সত্যি বলছেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।