প্রতীকী ছবি।
ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন বছর চব্বিশের হানা। আচমকাই সব কিছু অন্ধকার। ধড়াম করে মেঝেতে পড়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন।
ইউরোপ জুড়ে বাড়ছে মহিলাদের শরীরে ইনজেকশনের সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার ঘটনা। ব্রিটেন, ফ্রান্সের পর স্পেনেও তা ক্রমশ উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পছন্দের মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষেরাই এমনটা করছেন। কিন্তু সুচ হানা অব্যাহত থাকলেও এখনও পর্যন্ত যৌন হেনস্থার তেমন কোনও অভিযোগ আসেনি। তাই ধোঁয়াশা আরও বাড়ছে। কারা করছে এমন? কী উদ্দেশ্য?
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পুলিশ শুধু ক্যাটালোনিয়াতেই ২৩টি সুচ-হানার অভিযোগ পেয়েছে। সুচ-হানার ঘটনা লাফিয়ে বাড়ছে বার্সেলোনাতেও। যে মহিলারা সুচ-হানার শিকার হচ্ছেন তাদের সবারই বয়স তিরিশের কম। প্রত্যেকেই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছিলেন। সেই সময় আচমকাই হাতে, পায়ে বা শরীরের অন্য কোথাও সুচ ফোটার মতো অনুভূতি হয়। তার পর থেকেই তারা ঘুমিয়ে পড়ছেন বা জ্ঞান হারাচ্ছেন। এমন হামলা হয়েছে তা বুঝলেই দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেছে পুলিশ। যাতে দ্রুত পরীক্ষা করে দেখা যায়, কোন রাসায়নিক তাঁদের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।
২০২১-এ ব্রিটেনে সুচ-হানার খবর প্রকাশ্যে আসে। তার পর এ বছরই একই ঘটনার কথা শোনা যায় ফ্রান্স থেকে। এ বার তা ছড়িয়ে পড়ল স্পেনেও। জুলাই মাসে স্পেনের বিখ্যাত পাম্পপ্লোনা বুল রানিং ফেস্টিভ্যালে প্রথম এমন সুচ-হামলার কথা শোনা গিয়েছিল।