Gunmen Attack in Karachi

করাচিতে শীর্ষ পুলিশ কর্তার দফতরে সশস্ত্র জঙ্গিহানা, মৃত অন্তত ৭, আহত ১০

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ ৮ থেকে ১০ জনের একটি সশস্ত্র দল আচমকা করাচিতে পুলিশকর্তার দফতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই তাঁরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

করাচি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৪০
Share:

আক্রান্ত পুলিশ দফতরের বাইরে অপেক্ষায় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।

জঙ্গি হানায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। জানুয়ারিতে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পর এ বারের নিশানা করাচির শরিয়া ফয়জালে অবস্থিত শীর্ষ পুলিশ কর্তার দফতর। পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত অন্তত ৭ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন জঙ্গি এবং এক জন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠী।

Advertisement

পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ ৮ থেকে ১০ জনের একটি সশস্ত্র দল আচমকা করাচির শীর্ষ পুলিশ কর্তার দফতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই তাঁরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। এই হামলার কথা টুইট করেছেন করাচির পুলিশ প্রধান জাভেদ ওধো।

পুলিশ কর্তা ইরফান বালোচ জানিয়েছেন, সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কয়েক জন পুলিশকর্মী-সহ আহতও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তিনি আরও জানান, দু’জন জঙ্গি পুলিশের ঊর্দি পরে সামনের দরজা দিয়ে ঢোকেন। কয়েক জন ঢোকেন পিছনের দরজা দিয়েও। পুলিশের ওই কার্যালয়ের একটি তলা খালি করে ফেলা হয়। বেশ কয়েক জন থেকে যান দফতরের ভিতরেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তখনও গোলাগুলি চলছে। দফতরের ভিতর থেকে বোমার শব্দও শুনতে পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ সংশ্লিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এই রকম আক্রমণ কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। এর পিছনে যাঁরা জড়িত তাঁদের উচিৎ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে তালিবানের এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর সে দেশে জঙ্গিহানার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে পেশোয়ারের একটি মসজিদে ভরদুপুরে প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পুলিশকর্মী।

সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ সংশ্লিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এই রকম আক্রমণ কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। এর পিছনে যাঁরা জড়িত তাঁদের উচিৎ শাস্তি দেওয়া হবে।

নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে তালিবানের একমাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর সে দেশে জঙ্গিহানার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জানুয়ারী মাসের ৩১ তারিখে পেশোয়ারের একটি মসজিদে ভরদুপুরে প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পুলিশকর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement