শাহবাজ সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে খেই হারালেন ইমরান। ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে পাকিস্তান সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে খেই হারালেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের মন্তব্য ঘিরে সমাজমাধ্যমে আলোড়ন পড়ে যায়। আবেগে রাশ টানতে না পারার জন্য এই ক্রিকেটার-রাজনীতিককে নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপও শুরু হয়ে যায়।
গত বুধবার দেশের জনতার উদ্দেশে রাখা একটি বক্তৃতায় ইমরান পাকিস্তানের শাহবাজ় শরিফ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “দেশের এমন হাল হয়েছে যে, এক কেজি ঘি কিনতে হলেও পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।” পাকিস্তান সরকার অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করেছে, তা কার্যকরী নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সরকার এমন ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, যা দেখে মনে হচ্ছে ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে ডিসপ্রিন ওষুধ দিয়ে।” দেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির তুলনাও টেনেছেন তিনি। ইমরানের ঘি-মন্তব্যের পরই সমাজমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ ইমরানের বক্তব্যের ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, “আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে ঘিয়ের দামকে আকাশে তুলে দিয়েছেন ইমরান।”
এ-ও ঠিক যে, পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার প্রায় শেষ। নতুন করে ঋণ দিতে চাইছে না আইএমএফ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকবিলায় বিনা বেতনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর মন্ত্রীরা। দেশের এই বেহাল অবস্থার জন্য শাসকদলকে দুষে নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন হলে ইমরানকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেবে দেশের জনগণ। গত এপ্রিল মাসে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান।