জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইজ়রায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের জন্য পরোক্ষে আমেরিকাকেই দায়ী করল রাশিয়া। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইজ়রায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, “আমি মনে করি বহু মানুষ আমার সঙ্গে এক মত হবেন যে, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার যে নীতি, তার ব্যর্থতার একটি জ্বলন্ত নজির এই ঘটনা।” এর পাশাপাশি, প্যালেস্তাইনের স্বার্থের দিকটি উপেক্ষা করা, বিশেষত স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টিকে খারিজ করার জন্য আমেরিকাকেই দুষেছে রাশিয়া।
অন্য দিকে, বুধবারেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দূত হয়ে ইজ়রায়েলে পৌঁছচ্ছেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইজ়রায়েলি প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। ওয়াশিংটন থেকে ইতিমধ্যেই অস্ত্র, গোলাবারুদ ভর্তি বিমান পৌঁছেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে। প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র বাহিনী হামাসকে ঠেকাতে ওই অস্ত্রশস্ত্র কাজে লাগানো হবে। প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত ইজ়রায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অস্ত্র পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।
রাশিয়া অবশ্য চলতি সঙ্কটের জন্য আমেরিকাকে দুষেও আপাত নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ক্রেমলিনের তরফে যুযুধান দু’পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁরা যে, এই সংঘাতের নিষ্পত্তি চান, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পেসকভ। তবে কী ভাবে ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে, তা স্পষ্ট করেনি রাশিয়া।
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ভোরে হামাস ইজ়রায়েল আক্রমণ করে। পর পর রকেট এবং বোমা হামলা চলতে থাকে ইহুদি দেশটির উপর। পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইজ়রায়েলও। নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হুঁশিয়ারি দেন এবং পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। সেই থেকে অনবরত যুদ্ধ চলছে। এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের মোট তিন হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই যুদ্ধে।