ক্যাস্টর অয়েল মাখবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
এত দিন পর্যন্ত শুনে এসেছেন ক্যাস্টর অয়েল মাখলে নতুন চুল গজায়। সেই আশায় প্রায় রোজই মাথায় তেল মাখেন। কিন্তু তেল মাখার পরই গুচ্ছের চুল হাতে উঠে আসছে। সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে বলুন তো?
কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগই বুঝতে পারেন না, কোন তেল কতটা পরিমাণে নেওয়া দরকার। তাই উপরকারের বদলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন। তাই পাতলা চুলে তা মাখলে সমস্যা হতে পারে। আবার কারও মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে বেশি ক্যাস্টর অয়েল না মাখাই ভাল। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, মাথার ত্বক এবং চুলের ধরন বুঝে তেলের অনুপাত নির্ধারণ করতে হয়। যেমন, চুল খুব ঘন এবং মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে ২:১ এই অনুপাতে ক্যাস্টর অয়েল এবং নারকেল তেল মেশানো যেতে পারে। আবার কারও চুল খুব পাতলা এবং মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে বিষয়টা উল্টে দিতে হবে। অর্থাৎ, নারকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েলের অনুপাত হবে ২:১।
কী ভাবে মাখতে হবে ক্যাস্টর অয়েল?
১) প্রথমে ছোট একটি পাত্রে অল্প পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ভাল মানের নারকেল তেল। চাইলে অলিভ অয়েলও মেশাতে পারেন।
২) মাথার ত্বক এবং চুলের ধরন বুঝে তেলের অনুপাত ঠিক করে নিন। এ বার ওই তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে মেখে ফেলুন।
৩) গায়ের জোরে ঘষার প্রয়োজন নেই। হালকা হাতে মিনিট দশেক মাসাজ করুন। তাতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছয়।
৪) ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে কোনও মতেই চুল লম্বায় বাড়বে না। ক্যাস্টর অয়েল কিন্তু এই ধরনের সমস্যা সহজেই দূর করতে পারে।
৫) এ বার অন্তত আধ ঘণ্টা মাথায় তেল মেখে ওই ভাবে রেখে দিতে হবে। চাইলে সারা রাতও রেখে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও ওই সূত্রটি প্রযোজ্য। মাথার ত্বকে সারা রাত তেল রাখবেন কি না, তা মাথার ত্বক এবং চুলের ধরন বুঝে স্থির করতে হবে।
৬) নির্দিষ্ট সময় পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করাও জরুরি।