বয়স মাত্র ৭। তাতেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছে রোরি ভ্যান উলফ্ট। অবলীলায় তুলে ফেলছে ৮০ কেজি ওজন!
খুদে রোরি একজন ভারোত্তোলক। প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল ৫ বছর বয়সে।
৫ বছর পূর্তির জন্মদিনের পর থেকেই জিমে যাওয়া শুরু করেছিল রোরি।
তার পর ২ বছর ধরে তার নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪ ঘণ্টা করে ভারোত্তোলন অনুশীলন করে সে।
পাশাপাশি, প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৯ ঘণ্টা করে জিমন্যাস্টিক্সের প্রশিক্ষণও চলে রোরি-র।
অনুশীলনের উপযুক্ত সাজপোশাক তো সে করেই। তার সঙ্গে একটা নকল ট্যাটু লাগায় হাতে। সেখানে লেখা থাকে ‘ইটস কুল!’ এ ছাড়া আরও ট্যাটু আছে তার হাতে ও ঘাড়ে। রকমারি ট্যাটু খুবই পছন্দ তার।
আমেরিকায় যুব জাতীয় প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই বাজিমাত করেছে রোরি। অনূর্ধ্ব ১১ এবং অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে বিজয়ী হয়েছে।
আমেরিকার যুব জাতীয় প্রতিযোগিতায় সে-ই কনিষ্ঠতম চ্যাম্পিয়ন।
রোরি-র বাবা ক্যাভানের দাবি, এর আগে বিশ্বের কোনও ৭ বছর বয়সি বালক বা বালিকা এই নজির রাখতে পারেনি।
নিজের মেয়েকেই পৃথিবীর ইতিহাসে বলিষ্ঠতম ৭ বছর বয়সি শিশু বলতে চান রোরি-র বাবা।
শুধু ভারোত্তোলনই নয়। স্থানীয় প্রতিযোগিতায় জিমন্যাস্টিক্সেও খেতাব পেয়েছে রোরি।
একরত্তি রোরি অবশ্য জানিয়েছে, সে নিজে ভারোত্তোলনের তুলনায় জিমন্যাস্টিক্স বেশি পছন্দ করে।
তার কথায়, মাথার উপর ভারী জিনিস তুলে ধরার থেকে বেশি ভাল লাগে জিমন্যাস্টিক্সে শারীরিক কসরতের কারসাজি দেখাতে।
রোরি-র ভারোত্তোলনের বেশ কিছু ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার আঁচ ভালই টের পায় রোরি। সম্প্রতি ডিজনিল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে অনুরাগীরা চিনেও ফেলেছিল তাকে।
৪ ফুট উচ্চতার রোরি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার নিরিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাপিয়ে গিয়েছে অনেককেই। নেটাগরিকদের আশা, ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর যাবে সে।