ঋষি সুনক এবং লিজ় ট্রাস। ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ় ট্রাসের ইস্তফার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসবেন কে? ভারতীয় বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনক এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন বলে ক্ষমতাসীন কনজ়ারভেটিভ পার্টি সূত্রের খবর।
টালমাটাল অর্থনীতির হাল সামলাতে কনজ়ারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের বড় অংশ সে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষিকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে কনজ়ারভেটিভ পার্টির ৩৫৭ জন এমপি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ১০০ জনের বেশি ঋষিকে সমর্থন করেছেন। জুলাই মাসে বরিস জনসনের ইস্তফার পর লিজ়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে ১৩৭ জন এমপি-র সমর্থন পেয়েছিলেন সুনক। তবে এ বার শেষ পর্যন্ত বরিস নিজে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হলে ‘ছবিটা’ বদলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে হাউস অব কমন্সের নেত্রী পেনি মর্ডন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং ঋষির মতোই আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদ্য প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানও রয়েছেন। ওয়ালেস শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন, বরিস যদি দাবিদার হন তবে তিনি তাঁকেই সমর্থন করবেন। এ ছাড়া কনজ়ারভেটিভ পার্টির কৃষ্ণাঙ্গ নেত্রী তথা ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সচিব কেমি বডেনচ, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপসের নামও রয়েছে আলোচনায়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষির ‘তীরে এসে তরী ডুবেছিল’। এমপিদের মধ্যে পাঁচ দফার ভোটাভুটিতে এগিয়ে থাকলেও চূড়ান্ত দফার কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যেদের ভোটে হেরেছিলেন তিনি। জয়ী লিজ় পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। ঋষি ৬০ হাজার ৩৯৯টি। এ বার পার্টি সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ঋষির সুযোগ বেড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই।