ইরানের নতুন ড্রোন। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে নেওয়া।
ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতিতে এক হাজার নতুন ড্রোন পেল ইরান সেনা। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় এই হস্তান্তর পর্ব সম্পন্ন হয়েছে বলে সে দেশের সরকার অনুমোদিত সংবাদমাধ্যম সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে।
তবে কোন উদ্দেশ্যে ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সরকার সেনার হাতে এই ড্রোন-বহর তুলে দিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি প্রকাশিত সংবাদে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাডার ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন (স্টেল্থ) নতুন প্রযুক্তির এই ড্রোনগুলি দ্রুত, দিকবদল করতে পারে। প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল থেকে থেকে কয়েক দফায় ইজ়রায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইজ়রায়েল সেনার ‘অ্যারো এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম’ এবং ‘আয়রন ডোম’ প্রতিহত করেছে সেই হানাদারি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, তেল আভিভের দিকে ‘নজর’ রেখেই তেহরানের এই ‘রাডার-নজরদারি প্রতিরোধী ড্রোন’।
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার রাশিয়া সফরে গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশিদারিত্ব চুক্তি’ করছেন পেজ়েশকিয়ান। যার অন্যতম অংশ মস্কো-তেহরান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন। তার আগে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দুই দেশের চুক্তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি গৃহযুদ্ধে পরাস্ত হয়ে রাশিয়া এবং ইরানের ‘মিত্র’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কোয় পালিয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও চাপে রয়েছে রাশিয়া। এই আবহে পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা করেছেন পুতিন।