বাঁদিক থেকে— চন্দ্র আর্য, গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন এবং জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।
কয়েক মাস আগে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন। কানাডার পার্লামেন্টের সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য চন্দ্র আর্য এ বার নামলেন জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার লড়াইয়ে। শনিবার কানাডার পার্লামেন্ট কন্নড় ভাষায় বক্তৃতা করার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পেশ করেছেন তিনি।
কর্নাটকের টুমকুরে চন্দ্রের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। ধারওয়াড় থেকে এমবিএ করার পরে ভারতে চাকরিও করেছেন তিনি। ২০০৬ সালে পাকাপাকি ভাবে কানাডায় চলে যান। এর পরে সে দেশের লিবারেল পার্টিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোও ওই দলেরই নেতা। তবে লিবারেল পার্টির অন্দরে ‘ট্রুডো বিরোধী’ হিসাবেই চন্দ্রের পরিচিতি। মনোনয়ন পেশের আগে এক্স পোস্টে চন্দ্র লিখেছেন, ‘‘আমরা জাতিগত ভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যা সমাধানের জন্য কঠিন পদক্ষেপের প্রয়োজন। আমাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের সমৃদ্ধি সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’
গত কয়েক বছরে, গ্রেটার টরন্টো এরিয়া, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, এডমন্টন-সহ কানাডার বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে খলিস্তানপন্থীদের দিকে। গত বছর বিষয়টি নিয়ে কানাডার পার্লামেন্টে সরব হওয়ায় পন্নুনের হুমকির মুখে পড়েছিলেন চন্দ্র। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বার বার ট্রুডোর বিরুদ্ধে খলিস্তানপন্থীদের সম্পর্কে ‘নরম মনোভাবের’ অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছেন তিনি। দলের অন্দরে অন্তর্বিরোধের গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রুডো। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদ ছাড়ার কথাও জানান তিনি। কিন্তু এখনও উত্তরসূরি নির্বাচন না হওয়ায় তিনি পদে বহাল রয়েছেন।