নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল চিত্র।
একে অন্যের ভাষা বুঝতে অনুবাদের দরকার হয় না! ভারত-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে মঙ্গলবার রাশিয়ার কাজ়ানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমনটাই বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রত্যুত্তরে উষ্ণ হাসি ফিরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। হালকা চালের কথোপকথনেও স্পষ্ট হল মস্কো-নয়াদিল্লির সম্পর্ক।
মঙ্গলবার কাজ়ানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষবৈঠকে যোগ দেন মোদী। ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাঝেই পুতিন মোদীকে বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম অনুবাদ ছাড়াই আপনি আমার কথা বুঝতে পারবেন! আমাদের বন্ধুত্ব এমনই।’’ বৈঠকে বেশ কয়েক বার মোদী তথা ভারতকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘‘আমার জুলাইয়ের বৈঠকের কথা মনে আছে, সেখানেও আমরা নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ফোনেও বেশ কয়েক বার কথা বলেছি। কাজ়ান সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’’ শুনে উষ্ণ হাসি হাসেন মোদীও। উত্তরে বলেন, ‘‘আমার রাশিয়া সফরে আমাদের বন্ধুত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুলাই মাসে মস্কোয় অনুষ্ঠিত দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনও আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে।’’
মঙ্গলবার রাশিয়ার কাজ়ান শহরে পৌঁছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করেন তিনি। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানও চেয়েছেন মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যুদ্ধবিরতির স্বার্থে ভারত সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জরুরি কাজ থাকায় বিভিন্ন পার্শ্ববৈঠক এবং মূল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসবেন দেশে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। থাকবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং বহুপাক্ষিকতাকে শক্তিশালী করাই ব্রিকস-এর ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়। পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র-সহ ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো নতুন সদস্য এবং পর্যবেক্ষক মিলিয়ে মোট ৩৬টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা এ বার রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়।