ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের নারীদের জন্য নতুন ‘উপহার’ ওড়িশার বিজেপি সরকারের! এ বার থেকে মাসে এক দিন করে সবেতন ঋতুকালীন ছুটি পেতে চলেছেন মেয়েরা। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতা মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনই সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রভাতী পারিদা জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই রাজ্যের মহিলা কর্মীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি আনতে চলেছে ওড়িশা সরকার। ঋতুচক্রের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিন মিলবে এই বিশেষ ছুটি।
নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই নির্দেশেই সিলমোহর পড়ল। আগামী মাস থেকেই কার্যকর হতে চলেছে এই নিয়ম। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ওড়িশার সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলারা মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন। অর্থাৎ বছরে মোট ১২টি এমন ছুটি নেওয়া যাবে। এই ছুটি সাধারণ ক্যাজ়ুয়াল লিভ (সিএল) বলেই গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, ওড়িশায় মহিলারা বার্ষিক ১৫টি সিএল পেতেন। চলতি বছরের মার্চে ‘পারিবারিক দায়িত্ব এবং মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা’ মাথায় রেখে বার্ষিক ১০টি অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল পূর্ববর্তী বিজেডি সরকার। সেই জায়গায় এখন আরও দু’দিন অতিরিক্ত ছুটি পাবেন মহিলারা। অর্থাৎ, তাঁদের প্রাপ্য বার্ষিক সিএলের সংখ্যা এ বার বেড়ে হল ২৭।
ভারতের কিছু বেসরকারি সংস্থায় যদিও এই নীতি আগে থেকেই চালু রয়েছে। যেমন অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জ়োম্যাটোর মহিলা কর্মীরা ২০২০ সাল থেকেই বছরে সর্বাধিক ১০ দিন সবেতন ঋতুকালীন ছুটি পান। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ধরনের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে মহিলারা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারেন। মহিলাদের রক্ষা করার জন্য নির্দেশ যদি তাঁদের ক্ষতি করে, তা হলে তা আমরা চাই না।’’ বর্তমানে ভারতে শুধুমাত্র বিহার এবং কেরলেই মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটির নীতি চালু রয়েছে। এ বার সেই পথে হাঁটল ওড়িশাও।