Prince Charles

নভেম্বরে ভারত সফরে আসছেন প্রিন্স চার্লস

রানি এলিজাবেথের হাত থেকে পরবর্তী কমনওয়েলথ-এর দায়িত্ব নিতে চলেছেন ব্রিটিশ সিংহাসনের দাবিদার চার্লস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:২৮
Share:

ভারতে আসছেন যুবরাজ চার্লস। —ফাইল চিত্র।

ফের ভারত সফরে আসছেন ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস। গত দু’বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। আগামী ১৩ নভেম্বর দু’দিনের জন্য ভারতে আসছেন তিনি। সোমবার তাঁর দফতরের তরফে এমনই ঘোষণা করা হল।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক এবং কমনওয়েলথ বিভাগের অনুরোধেই যুবরাজ চার্লস ভারতে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন–সহ একাধিক বিষয়ে দিল্লিতে মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা তাঁর।

অন্য দিকে, রানি এলিজাবেথের হাত থেকে পরবর্তী কমনওয়েলথ-এর দায়িত্ব নিতে চলেছেন ব্রিটিশ সিংহাসনের দাবিদার চার্লস। সেই নিয়ে আগামী বছর রোয়ান্ডায় কমনওয়েলথ দেশগুলির বৈঠক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ আরও ৫২ দেশের প্রধান তাতে যোগ দেবেন। তার আগে চার্লসের ভারত সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার অপারেশন বাগদাদি শেষ সুড়ঙ্গের প্রান্তে, কী ভাবে চলল মার্কিন সেনার অভিযান​

কারণ কমনওয়েলথ-এ নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তরজা শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। ১৯৫২ সাল থেকে কমনওয়েলথ-এ নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন রানি এলিজাবেথ। সেই দায়িত্ব যুবরাজ চার্লসের হাতে তুলে দিতে ইচ্ছুক তিনি। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। কমনওয়েলথ-এর বাগডোর শুধুমাত্র রাজপরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, প্রতিটি দেশকে দফায় দফায় সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন তিনি।

কমনওয়েলথএ নিজেদের কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখতে তাই রাজ পরিবারের কাছে ভারতের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব দিক বিবেচনা করেই চার্লস ভারত সফরে আসছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

এর আগে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে সস্ত্রীক ভারতে এসেছিলেন যুবরাজ চার্লস। তাঁর হাত দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে ২০১৮-য় কমনওয়েলথ দেশগুলির বৈঠকে মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। এ বার দশমবারের জন্য ভারতে আসছেন চার্লস।

আরও পড়ুন: মুখচোরা ইব্রাহিম কী ভাবে হয়ে উঠলেন নৃশংস বাগদাদি?​

দিন কয়েক আগেই পাকিস্তান সফর সেরে দেশে ফিরেছেন চার্লসের বড় ছেলে উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন। তার পরেই চার্লসের ভারত সফরের ঘোষণা কূটনৈতিক ভাবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement