অনাস্থাভোট বাতিল হওয়ার পর খোশমেজাজে ইমরান। টুইটার থেকে নেওয়া।
শেষ ওভারে ইমরানের বাউন্সারে কি ধরাশায়ী সম্মিলিত বিরোধীরা? ইসলামাবাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির গতিপ্রকৃতি তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যে অনাস্থাভোটে নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমরান, ঘটনাক্রমে দেখা গেল, সেই অনাস্থাভোটই হল না। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে ইমরান দাবি জানালেন, অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভোট ঘোষণার। অন্য দিকে বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে ইমরান দাবি জানিয়েছেন, অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার এবং দেশে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইমরান দেশবাসীর কাছে ভোটের জন্য তৈরি হওয়ার আবেদন রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘবড়ানা নেহি হ্যায়।’’ ভগবান উপর থেকে পাকিস্তানের উপর নজর রেখে চলেছেন। তিনি দেখছেন, কী ভাবে তাঁর সরকার ফেলতে বিরোধীরা পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এর পরই ইমরানকে বলতে শোনা যায়, দেশবাসীই স্থির করুন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান।
জাতির উদ্দেশে ভাষণের পরই তথ্য মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী টুইটে জানান, অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে নিশ্চিত জয়ের স্বপ্ন দেখা বিরোধীরা কার্যত ছত্রভঙ্গ, দিশেহারা। তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এ দিকে অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়া হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করাতে হবে। মধ্যবর্তী সময় ক্ষমতার রাশ থাকবে তদারকি সরকারের হাতে।