আফগানিস্তানে বিমানহামলা। ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিনের আগের রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ১৫ জনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুরাও। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান সংবাদমাধ্যমের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় লামান-সহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক নারী ও শিশুসহ মৃত্যু হয়েছে আরও অন্তত ১০ জনের। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি। এখনও ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ এবং আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
হামলার পরেই মুখ খুলেছে আফগানিস্তানের শাসক তালিবান। তাদের দাবি, আফগানিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের শরণার্থী শিবিরের নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে নিশানা করে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, নিজেদের ভূমি এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শীঘ্রই এই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানি সেনার উপর হামলা বাড়িয়েছে আফগানিস্তানের পাক তালিবানি জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। উল্টো দিকে, পাকিস্তানও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টিটিপি-কে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। এর পরেই আফগানিস্তানকে নিশানা করেছে পাকিস্তান।