লিস্টন কোলাসোর গোলে জয়ে ফিরল মোহনবাগান। ছবি: সংগৃহীত।
মোহনবাগান - ১ (লিস্টন)
বেঙ্গালুরু - ০
আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাল কাটছে মোহনবাগানের। আগের দু’ম্যাচ ড্র করেছিল হোসে মোলিনার দল। সোমবার সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধেও সেরা ছন্দে পাওয়া গেল না সবুজ-মেরুনকে। তবু লিস্টন কোলাসোর গোলে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট পেল মোহনবাগান। এই ম্যাচের পর ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট হল মোলিনার দলের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়ার ১৭ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট।
বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সুনীলদের হারিয়ে দিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সেই দলের বিরুদ্ধেই ঘরের মাঠে মোহনবাগানকে কিছুটা যেন দিশাহীন দেখাল। শেষ চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট পাওয়া বেঙ্গালুরু খেতাবের দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। এ দিন যুবভারতীতে শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা। মোহনবাগান প্রথম দিকে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তবে কিছুটা গাজোয়ারি, বিরক্তিকর ফুটবল খেলছিল দু’দলই। তার মধ্যেই ম্যাচের ৯ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর সুরেশ ওয়াংজাম। তাঁর শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ১৮ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল। মোহনবাগানের প্রথম ইতিবাচক আক্রমণ ম্যাচের ২২ মিনিটে। মনবীর সিংহ ডান প্রান্ত দিয়ে ভাল উঠেছিলেন। কিন্তু বক্সে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে বল বাড়াতে পারেননি ঠিক ভাবে। প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর আক্রমণের তীব্রতা ছিল বেশি। দু’দলের মাঝমাঠ দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। বেশ কয়েক বার মোহন ফুটবলারদের বোঝাপড়ার অভাবও চোখে পড়েছে। তার মধ্যেই ৩৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দূরপাল্লার শট আটকে দলের পতন রোখেন গুরপ্রীত সান্ধু। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে সহজ সুযোগ পান সুনীল। কিন্তু তাঁর শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব ভুগিয়েছে দু’দলকেই। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। বেঙ্গালুরুর বক্সে জেমি ম্যাকলারেন বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্টকে। তাঁর পায়ের সঙ্গে বলের সংযোগ ঠিক মতো হলে এগিয়ে যেতে পারত মোলিনার দল। মোহনবাগানকে ৭৪ মিনিটে এগিয়ে দেন লিস্টন। স্টুয়ার্টের ক্রস থেকে বক্সের মাথায় বল পান তিনি। বল মাটিতে পড়ার আগেই তাঁর ২০ গজের শক্তিশালী শট গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগানের খেলায় চেনা ধার খুঁজে পাওয়া গেল না। এগিয়ে যাওয়ার পর স্টুয়ার্ট এবং লিস্টনকে তুলে নেন মোলিনা। নামান জেসন কামিংস এবং আশিক কুরিয়ানকে। দলকে ৪-৪-২ থেকে ৫-৩-২ ছকে নিয়ে চলে যান। রক্ষণে লোক বাড়িয়ে বেঙ্গালুরুর আক্রমণ রোখার চেষ্টা করেন। তাতে সফলও হন তিনি। যদিও সংযুক্ত সময় রাহুল বেকের হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। সবুজ-মেরুন প্রাক্তনী গোল করতে পারলে এই ম্যাচেও পয়েন্ট হাতছাড়া হত সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।