কেপি শর্মা ওলি ও নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
যেচে প্রতিষেধক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে চিন। কিন্তু তাদের উপর ‘আস্থা’ রাখতে পারছে না নেপাল। বরং ভারতের তৈরি কোভিড প্রতিষেধকই কিনতে আগ্রহী তারা। সে বিষয়ে কথা বলতেই চলতি মাসেই দিল্লি সফরে আসছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ জবালী। নয়া সরকার গঠন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই কাঠমান্ডুর তরফে এমনটাই জানানো হল।
আগামী ১৪ জানুয়ারি দিল্লিতে আসছেন প্রদীপ। তার পর দিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ষষ্ঠ নেপাল-ভারত যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সেখানেই ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি প্রতিষেধক সংক্রান্ত পাকা কথা সেরে নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের তৈরি প্রতিষেধকের ১ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ কিনতে আগ্রহী নেপাল। সেই মতো ভারতের প্রতিষেধক উৎপাদনকারী সংস্থা এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও করে ফেলেছেন এ দেশে তাদের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য। জরুরি ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’-কে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেও সংস্থার একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ভি কৃষ্ণমোহনের সঙ্গেও মঙ্গলবার বৈঠক করেন নীলাম্বর।
আরও পড়ুন: নওয়াজ শরিফের বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, মোদীকে নিয়ে শেষ বইয়ে প্রণব
আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ আইনে স্থগিতাদেশ নয়, তবে খতিয়ে দেখতে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
বিগত কয়েক বছরে আর্থিক সাহায্য এবং পরিকাঠামোগত বিনিয়োগের নামে নেপালে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে চিন। এক রকম যেচেই নিজেদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক ‘সিনোভ্যাক’ও নেপালকে সরবরাহ করার প্রস্তাব দেয় তারা। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী প্রতিষেধকের জন্য ভারতের উপরই ভরসা করছে নেপাল।