ফাইল ছবি
রবিবার পোখরা থেকে জমসমের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে মাঝ আকাশ থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তারা এয়ারের বিমানটি। নেপালের মাস্টাং জেলার থাসাং-২-এর কাছে সমতল থেকে ১৪ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানটির ভেঙে পড়ার কারণ জানাল নেপালের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভেঙে পড়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ২২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্সও।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বাঁ দিকে যাওয়ার বদলে ডান দিকে গিয়ে পাহাড়ে ধাক্কা মারে। তার ফলে বিমানটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি ৪২ বছরের পুরনো। ১৯৭৯ সালে সেটি কেনে এয়ার বতসোয়ানা। পরবর্তী কালে লুম্বিনি এয়ারওয়েজ সেটিকে নেপালে আনে। হাতবদল হয়ে ২০১০ সালে তারা এয়ারের হাতে বিমানটি আসে।
প্রসঙ্গত, ভেঙে পড়া বিমানটিতে চার জন ভারতীয়-সহ মোট ২২ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন দু’জন জার্মানির এবং ১৩ জন নেপালের নাগরিক। যে চার ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এই বিমান দুর্ঘটনায়, তাঁদের নাম— বৈভবী ত্রিপাঠী, অশোককুমার ত্রিপাঠী, ধনুষ ত্রিপাঠী ও ঋতিকা ত্রিপাঠী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।