নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় শো ‘ইন্ডিয়ান ম্যাচমেকিং’-এ দেখা গিয়েছিল সুরভী গুপ্তাকে। ছবি: সংগৃহীত।
নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় শো ‘ইন্ডিয়ান ম্যাচমেকিং’-এ দেখা গিয়েছিল সুরভী গুপ্তাকে। সেখান থেকে তিনি বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেন। মেটার এই কর্মীকেও এক রাতের নোটিসে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে জ়াকারবার্গের সংস্থা। সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সুরভী।
সুরভী জানান, চাকরি চলে যাওয়ার পর তাঁর প্রেম ভাঙার মতো কষ্ট হয়েছিল। সারা রাত তিনি এবং তাঁর অন্য সহকর্মীরা জেগে ছিলেন। ভোর ৬টা নাগাদ ই-মেল আসে। জানতে পারেন চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সুরভীকে।
মেটায় প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন সুরভী। কর্মসূত্রে ২০০৯ সাল থেকে থাকেন আমেরিকায়। বিবিসি-কে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কেউ সে রাতে ঘুমোইনি। ভোর ৬টার সময় মেল আসে। আমি নিজের কম্পিউটারটাও আর ব্যবহার করতে পারছিলাম না। অফিসের জিমে আমার প্রবেশের অনুমতি ছিল না আর। প্রেম ভাঙার মতো দুঃখ হয়েছিল।’’
সুরভী জানান, তিনি তাঁর সংস্থায় ভাল ভাবেই কাজ করছিলেন। গণছাঁটাই হলেও তাঁকে রেখে দেওয়া হবে বলেই মনে করেছিলেন। কিন্তু একটি ই-মেল সে বিশ্বাস ভেঙে দেয়।
২০২০ সালে নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান ম্যাচমেকিং’-এর প্রথম পর্বে দেখা গিয়েছিল সুরভীকে। এই শো-তে ভারতীয় তরুণ-তরুণীর বিয়ের ঘটকালি করা হয়।
সম্প্রতি টুইটারের মতো গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থা। মেটার ইতিহাসে এত বড় গণছাঁটাই আগে হয়নি। একটি মাত্র ই-মেলের মাধ্যমে কর্মীদের চাকরি চলে গিয়েছে। জ়াকারবার্গ এই পরিস্থিতির দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, কর্মীদের নতুন কাজ খুঁজতে সাহায্যও করবে মেটা। শুধু মেটা নয়, সংস্থার লাভের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি আমাজ়নও গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে।