Online fraud

নদিয়ায় বসে ‘কোটি কোটি টাকার অনলাইন প্রতারণা’! তৃণমূল নেতাকে ধরে নিয়ে গেল বেঙ্গালুরুর পুলিশ

সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলত কারবার। দেশ-বিদেশে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হত। একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে এই তথ্য জানতে পেরেছিলেন ভিন‌্‌রাজ্যের তদন্তকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলত কারবার। দেশ-বিদেশে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হত। একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে এই তথ্য জানতে পেরেছিলেন ভিন‌্‌রাজ্যের তদন্তকারীরা। উৎস খুঁজতে গিয়ে তাঁরা এ-ও জানতে পারেন, বাংলায় বসে কেউ ওই অনলাইন প্রতারণাচক্র চালাচ্ছেন! এর পর আর বিলম্ব না করে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে নদিয়ায় হানা দিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরুর পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই যুবকের মধ্যে এক জন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য পিঙ্কু মণ্ডল। তিনি থানারপাড়ার পরানপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্যা। আর এক ধৃত কামালউদ্দিন হাসান তেহট্টের বাসিন্দা। নাজিরপুরে জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে তাঁর। তেহট্ট থানা এবং নাজিরপুর ফাঁড়ির পুলিশের সাহায্য নিয়েই তাঁদের বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে পাসবুক, এটিএম কার্ড এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের কর্নাটকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘কর্নাটক পুলিশ একটি সাইবার প্রতারণার মামলার তদন্তে এসে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নিয়ে গিয়েছে তারা।’’

প্রতারণার মামলায় তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোয় দলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের কাজ করে থাকলে, তার দায় দলের নয়। অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু পুলিশের সাইবার শাখায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অনলাইন প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নামে। এর পরেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গোটা চক্রটি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে চালানো হচ্ছে। খবর মেলে, নাজিরপুর বাজারে কাপড়ের দোকানের নাম করে ভাড়া নেওয়া একটি ঘরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন প্রতারকেরা। সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার বাজারের গ্রুপ তৈরি করে সাধারণ মানুষকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিত তারা। সেই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করে প্রতারণা চলত। তদন্তের শুরুতেই কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নদিয়ার ঘাঁটির কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা বলেই দাবি তদন্তকারীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement