প্রতীকী ছবি।
বাড়ির দেওয়ালে লুকনো ছিল হাড়ের টুকরো। হঠাৎ তা বেরিয়ে পড়ায় আতঙ্কে পুলিশে খবর দিলেন এক ব্যক্তি। নেটমাধ্যমে হাড়ের ছবি তুলে বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও দিয়েছিলেন তিনি। বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষার পর অবশ্য জানা গেল যা ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন, বিষয়টি তা নয়। কাউকে খুন করে তাঁর বাড়ির দেওয়ালের ভিতর পুঁতে দেওয়া হয়নি।
বাড়ির দেওয়ালে শিরদাঁড়ার মতো দেখতে বেশ বড় আকারের একটি হাড় খুঁজে পান ওই ব্যক্তি। টিকটকে সেই হাড়টির ছবি দিয়ে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘এই হাড় কি মানুষের?’’
জবাবে নেটমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে জানান, মানুষ না হলেও হাড়টির আকার আকৃতি যে রহস্যজনক সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অনেকে আবার বলেন হাড়টি গবাদিপশুরও হতে পারে। পোষ্য প্রাণীদের মৃত্যুর পর তাদের দেহ বাড়ির দেওয়ালে গেঁথে দেওয়ার রীতি ছিল এক সময়। সেই প্রথার কথাও জানান কেউ কেউ। যদিও বাড়ির মালিক এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি। পুলিশ এলে তিনি হাড়টিকে পরীক্ষা করতে বলেন।
টিকটকে দেওয়া ভিডিয়োর একটি দৃশ্য।
সেই পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার হাতে আসে। জানা যায়, ওই হাড় মানুষের নয়। আদতে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাটা ভেড়ার মাংসের টুকরো। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার ফলে এখন মাংস নেই শুধু হাড়গোড় পড়ে আছে।
বাড়ির মালিক অবশ্য এই রিপোর্টেও সন্তুষ্ট হননি। নতুন এক আতঙ্কের কথা জানিয়ে ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। বলেন, ‘‘তবে কি বাড়িতে কেউ লুকিয়ে আছে! যে সবার অলক্ষে মাংস খেয়ে তার হাড়গোড় দেওয়ালে লুকিয়ে রাখছে?’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তাঁর বাড়ি সম্পূর্ণ নিরাপদ, সেখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি লুকিয়ে নেই।