মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে মলদ্বীপ থেকে এল শুভেচ্ছাবার্তা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠালেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তাতে ভারত এবং মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে অনেক ভাল ভাল কথা লেখা রয়েছে। মলদ্বীপ প্রেসিডেন্টের অফিস থেকেই সে কথা জানানো হয়েছে।
মলদ্বীপ প্রেসিডেন্টের দফতর একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদী এবং দ্রৌপদী মুর্মুকে দু’টি পৃথক বার্তায় অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী দিনে ভারতের উন্নতি এবং অগ্রগতি কামনা করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘বহু বছরের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মলদ্বীপ এবং ভারতের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’ আগামী দিনেও দুই দেশের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, মলদ্বীপে গত নভেম্বরে ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। তিনি চিনঘেঁষা বলে পরিচিত। সম্প্রতি মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। লক্ষদ্বীপ সফরে মোদীর কিছু ছবিতে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। তার পরই ভারতের সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সে সময়ে চিন সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। তিনি ফিরে এসে কারও সামনে মাথা নত না করার হুঁশিয়ারি দেন। মলদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতেও বলেন মুইজ্জু। বলা হয়, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে।
মলদ্বীপের পর্যটন অনেকাংশেই ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারতে ‘বয়কট মলদ্বীপ’-এর ডাক উঠলে ঘরের মাটিতেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন মুইজ্জু। তাঁর ভারতবিরোধী নীতি সে দেশেরই অনেকে পছন্দ করছেন না। মলদ্বীপের ‘ভারত-বিরোধী অবস্থান’ দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ বলে প্রেসিডেন্টকে আক্রমণও করেছেন সে দেশের প্রধান দুই বিরোধী দলের নেতারা। ঘরের মাঠে ভারত প্রসঙ্গে তাই মুইজ্জু এখন কিছুটা ‘কোণঠাসা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে মলদ্বীপ থেকে। অনেকে তাই একে মুইজ্জুর ‘ক্ষতে মলম’ দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন।