Sri Sarada Devi

জয়রামবাটিতে পালিত হল মা সারদার জন্মতিথি

১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে জন্মগ্রহন করেন মা সারদা। অল্প বয়সেই কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছিল জয়রামবাটিতেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৭
Share:

বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে রবিবার সাড়ম্বরে পালিত হল মা সারদার ১৭২তম জন্মতিথি। —নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে রবিবার সাড়ম্বরে পালিত হল মা সারদার ১৭২তম জন্মতিথি। সকাল থেকে পুজো পাঠ-সহ বিভিন্ন ভক্তিমূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মাতৃ মন্দিরে পালিত হয় দিনটি। পবিত্র এই দিনে মা সারদার জন্মস্থানে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরে।

Advertisement

১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে জন্মগ্রহন করেন মা সারদা। অল্প বয়সেই কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছিল জয়রামবাটিতেই। সেই জয়রামবাটিতেই পরবর্তীতে মাতৃ মন্দির স্থাপনের পর থেকে ঘটা করে মা সারদার জন্মতিথি পালনের রেওয়াজ শুরু হয়। চলতি বছর তিথি ধরে রবিবার মাতৃমন্দিরে পালিত হয় মা সারদার ১৭২তম জন্মতিথি। মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে শনিবার রাত থেকেই মাতৃমন্দিরে শুরু হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। রবিবার ভোরে মঙ্গলারতি ও বিশেষ পুজোর মধ্য দিয়ে জন্মতিথি উদযাপন শুরু হয়। সকালে মাতৃমন্দিরের মহারাজ, পুণ্যার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে প্রভাতফেরি হয়। সুসজ্জিত শোভাযাত্রা মাতৃমন্দির থেকে বার হয় জয়রামবাটি গ্রাম পরিক্রমা করে ফের তা শেষ হয় মাতৃমন্দিরে। এর পর দিনভর হোম, ভোগ নিবেদন ও ধর্মসভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়। সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন ভক্তিমূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে মাতৃমন্দির কর্তৃপক্ষ। মা সারদার জন্মতিথি উপলক্ষে এ বছরই প্রথম স্থানীয়দের উদ্যোগে জয়রামবাটি গ্রামে শুরু হয়েছে মা সারদা মেলা। মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে জয়রামবাটিতে আসা ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা মাতৃমন্দিরে পুজো, পাঠ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি ঢু দেন মেলা প্রাঙ্গণেও।

মাতৃমন্দিরের মহারাজ স্বামী পররূপানন্দ বলেন, ‘‘১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর মা সারদা এই জয়রামবাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সেই জন্মতিথি আজ পালিত হচ্ছে মাতৃমন্দিরে। ভোরে মঙ্গলারতি, বেদ ও মায়ের কথা পাঠের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়েছে। দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠান রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থীর প্রসাদ গ্রহণের আয়োজনও করা হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement