Mohamed Muizzu

মলদ্বীপের সরকার বদলাতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল! বড় বিপদের মুখে মুইজ্জু?

খুব শীঘ্রই মলদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরুদ্ধে সে দেশের পার্লামেন্টে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৫
Share:

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র ।

মলদ্বীপের মুইজ্জু সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বড় পদক্ষেপ করল সে দেশের প্রধান বিরোধী দল ‘মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)’। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ইমপিচমেন্ট (বেআইনি কার্যকলাপের ভিত্তিতে উচ্চ পদে থাকা সরকারি কর্তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অপসারণ) প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রচুর স্বাক্ষর সংগ্রহ করল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলির দল। খুব শীঘ্রই মলদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরুদ্ধে সে দেশের পার্লামেন্টে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সে দেশে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে তালমিলের অভাবে রবিবার পার্লামেন্টের ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দেশের শাসক এবং বিরোধী দলের সাংসদেরা। চলে কিল-ঘুষিও। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দেশের বর্তমান শাসক জোটের দুই দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি), প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ (পিপিএম) এবং বিরোধী দল মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি)-র সদস্যেরা। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এক সাংসদকে মাটিতে শুইয়ে মারধর করছেন অন্য সাংসদেরা। পরে মলদ্বীপের শাসক জোটের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মন্ত্রিসভায় চার জনের নিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে চাইছে না বিরোধী দল এমডিপি। এর ফলে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজে বাধা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু পিএনসি-র সদস্য আর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি (যাঁকে হারিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় এসেছেন) এমডিপি-র সদস্য। মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় সদস্য নিয়োগের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন আদায় করতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভার চার সদস্যকে নিয়োগ করার ব্যাপারে আপত্তি জানায় সোলির দল। অভিযোগ, মুইজ্জুর দলের সদস্যেরা সোলির দলের সাংসদদের পার্লামেন্টে ঢুকতে বাধা দেন। এর পরেই দু’দলের নেতারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মলদ্বীপের পার্লামেন্ট। এর এক দিন পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরুর পথ প্রশস্ত করল এমডিপি।

Advertisement

সম্প্রতি, ভারত-মলদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন দেখেছে সারা বিশ্ব, যার সূত্রপাত চলতি মাসের গোড়া থেকে। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ, এর পর মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজ়ুম মাজিদ ভারত এবং মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়েছিল। মলদ্বীপের বিরোধী নেতাদের চাপের মুখে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। কিন্তু সংঘাতের পরিস্থিতি তাতে প্রশমিত হয়নি। মলদ্বীপের অন্দরেও সমালোচনার মুখে পড়েন মুইজ্জু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement